শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র – বিচারপতি বিশ্বজিত বসু
নিউজ ডেস্ক::এসএসসির গ্রুপ ডি নিয়োগের বিষয়টি গেছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।তিনি সমস্ত রিপোর্ট দেখে বিস্মিত।তিনি বলেন,
বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আমিও সেই লড়াইয়ে সামিল হলাম। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে পরিসংখ্যান হাতে এসেছে তা ভয়ঙ্কর।
সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসির সার্ভার থেকে ৯০৭ জন পরীক্ষার্থীর নম্বর বদল করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্যানেলে নাম রয়েছে ৬৩১ জনের। দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী হয়তো আদতে ১ বা ০ পেয়েছেন। ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় সাফ বলে দেন এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু যদি তাঁরা তা না করেন, তাহলে আদালত অন্যভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। এই সকল প্রার্থীরা পদত্যাগ না করলে, পরবর্তীতে তাঁরা যেন আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় না বসতে পারেন, আমি সেই নির্দেশ দেব। পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির
জন্য আবেদন করতে পারবেন না।পদত্যাগ করলে বুঝব যে তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, নিজেরা কী করেছেন! নাহলে কড়া পদক্ষেপ।
বিচারপতি বসু বলেন,ভবিষ্যতে যারা শিক্ষকতা করবেন,তারা ছাত্র ছাত্রীদের কোন আদর্শ দেবেন।পুরো প্যানেলকে অবৈধ ঘোষণা করে আবার নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।তিনি বলেন গ্রুপ ডি নিয়োগের পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।