রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ঢাকায় আবার বিস্ফোরক আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক ::গত রবিবার এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন নি, তাকে দেশছাড়া করা হয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের আওমালীগ বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল। আর সেই কারণেই সাহাবুদ্দিনের ইস্তফার দাবিতে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা। যে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল, সেই আন্দোলনকারীরাই সাহাবুদ্দিনের ইস্তফার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ দেখান। বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে আরও অন্যান্য সংগঠন তাতে যোগ দেয়। সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের জন্য সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ‘মুজিবপন্থী’ সংবিধান-সহ পাঁচ দফা দাবি তুলেছেন তাঁরা। তারইমধ্যে রাত ন’টা নাগাদ বঙ্গভবনের সামনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বঙ্গভবনের সামনে যে রাস্তা আছে, সেখানে বিক্ষোভ দেখানোর মধ্যেই রাতের দিকে আচমকা ব্যারিকেড ভেঙে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। আর তাতেই বাঁধে গোলমাল।

একটা সময় আন্দোলন উগ্র আন্দোলনে রূপ নেয়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় লাঠিচার্জ চালানো হয়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেলেট গান ব্যবহার করা হয়েছে। ছোড়া হয় সাউন্ড গ্রেনেড। তবে তাতেও বঙ্গভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরানো যায়নি। বিক্ষোভে সামিল হওয়া এক ব্যক্তি দাবি করেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনও নথিগত প্রমাণ নেই বলে যে মন্তব্য সাহাবুদ্দিন, তাতে রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি। তারইমধ্যে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত রাত দুটো নাগাদ বঙ্গভবন ছেড়ে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। তাতে অবশ্য সাহাবুদ্দিনের ভাগ্য পালটাবে না বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ওই মহলের মতে, এখন যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সাহাবুদ্দিনের বিদায়ের পথ প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তিনি নিজে ইস্তফা দেবেন নাকি মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাঁকে সরিয়ে দেবেন, সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। একটা বিষয় বেশ পরিষ্কার যে আন্দলেন এখন মূলত পাকিস্তানপন্থী জামাতের হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *