দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ডের ‘ ঘোষণা করল অর্থমন্ত্রী
Read Time:4 Minute, 32 Second
নিউজ ডেস্ক: করোনার প্রকোপে দেশীয় অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। সেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিল ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ। এই আর্থিক প্যাকেজের প্রথম দফার ঘোষণা বুধবার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের কৃষক, পরিযায়ী শ্রমিক, দিন মজুর ও হকারদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। যেখানে এক দেশ এক রেশন কার্ডের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
এই দিনের উল্লেখ যোগ্য বিষয় গুলি হল:
- ২৫ লক্ষ প্রান্তিক কৃষককে কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। এর জন্য কৃষকদের ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণের ঘোষণা করা হয়েছে।
- গ্রামীণ পরিকাঠামোয় ৪,২০০ কোটি টাকার ঘোষণা করা হয়েছে।
- রাজ্য সরকার গুলির কৃষি ক্ষেত্রে ৬,৭০০ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে।
- গ্রামীণ উন্নয়নে ২৯, ৫০০ কোটি টাকা নর্বাড দিচ্ছে।
- SDRF কে ১১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
- ৩ কোটি ছোট চাষীকে ৪ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ ঘোষণা করা হয়েছে।
- ১২ হাজার সেল্ফ হেলফ গ্রুপ ৩ কোটি মাস্ক তৈরি করেছে।
- পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসস্থান ও দিনে তিন বার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- পরিযায়ী শ্রমিকেরা আগামী ২ মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন। প্রতিমাসে ৫ কেজি গম, চাল ও এক কেজি চানা দেওয়া হবে।
- পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশনের জন্য ৩,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রেশন কার্ড না থাকলেও রেশন পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
- এর ফলে ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক উপকৃত হবেন।
- রাজ্য সরকার গুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলা ফান্ড ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
- ১০০ দিনের কাজে পরিচয় শ্রমিকদের নিয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। এক্ষেত্রে মজুরি বৃদ্ধির কথা বলেছেন তিনি। অর্থাৎ ১৮২ টাকার জায়গায় ২০২ টাকা করে ১০০ দিনের কাজে পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
- বিপদজনক কল কারখানার শ্রমিকদের ইএসআই এ সুবিধা দেওয়া হবে।
- প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় শহরের গরিব ও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কম টাকায় বাড়ি ভাড়া বন্দোবস্ত করা হল।
- শিশু লোনের ক্ষেত্রে ১৫০০ কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ৩ কোটি মানুষ উপকৃত হবে।
- হকার ও স্ট্রীট ভেন্ডাদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঋণ ডিজিটালে পরিশোধ করলে বিশেষ উপহার পাওয়া যাবে। এর ফলে ৫০ লক্ষ হকার উপকৃত হবে।
- এর ফলে হকাররা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ২ শতাংশ হারে সহজ শর্তের ঋণ দেওয়া হবে।
- আদিবাসী এলাকার জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার ফান্ড বরাদ্দ করা হয়েছে।
- ৩ কোটি কৃষকদের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- গৃহ নির্মাণে ক্রেডিট লিংক সাবসিডি স্কিম চালু করা হল। এটি ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।
- মধ্যবিত্ত পরিবার আবাসন কিনলে ভর্তুকি। গৃহঋণের ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবার নিম্ন মধ্যবিত্তরা কম দামে কিনতে পারবেন বাড়ি।
- বার্ষিক আয় ৬ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা হলে গৃহঋণে বিশেষ ভর্তুকি পাবেন মধ্যবিত্তরা।