কোভিশিল্ড নেওয়া ১০ লক্ষের মধ্যে কতজন ঝুঁকির মুখে

0 0
Read Time:3 Minute, 53 Second

নিউজ ডেস্ক ::দুহাজার একুশের শুরু থেকেই সারা দেশে মহামারী করোনা থেকে বাঁচতে কোভিশিল্ডের টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যায়। তখনই বেশি কিছু চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে পর্যাপ্ত পরীক্ষা না করে টিকা দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল। তবে সেই সময় মহামারীর ভয়ে সেই প্রতিবাদ খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।

কিন্তু ইতিমধ্যেই তারপর তিন বছর পার হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বিরল প্রতিক্রিয়া সামনে আসছে। তবে সবই যে এই টিকার জন্য, তা এখনও বলতে পারছেন না চিকিৎসক কিংবা বিজ্ঞানীরা। তবে প্রতিক্রিয়া নিয়ে সারা বিশ্বের সঙ্গে ভারতেও শোরগোল শুরু হয়েছে।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন আইসিএমআর বিজ্ঞানী তথা শীর্ষ মহামারী বিশেষজ্ঞ রমন গঙ্গাখেদকর দাবি করেছেন, যাঁরা এই ভ্যাকসিনম নিয়েছেন তাঁদের কোনও ঝুঁকি নেই। সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, দশ লক্ষের মধ্যে মাত্র সাত থেকে আটজন, যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন, তাঁদের থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম নামে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন। সংখ্যার নিরিখে তা নগন্য বলেই জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেছেন, যখন কেউ প্রথম ডোজ নেন, তখন ঝুঁকি সব থেকে বেশি থাকে। দ্বিতীয় ডোজ নিলে এটি কমে যায়। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পরে তা সর্বনিম্ন হয়ে যায়। আর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে, তা প্রথম দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দেখা যায় বলে জানিয়েছেন শীর্ষ মহামারী বিশেষজ্ঞ রমন গঙ্গাখেদকর। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন চালু ঙওয়ার ছয় মাসের মধ্যে এঅই বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

অন্যদিকে রানির দেশে প্রতিবেদনে উদ্ধৃত আদালতের নথি অনুসারে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করেছে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনে (কোভিশিল্ড) রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়। এই ভ্যাকসিন তৈরি করে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। দেশের জনসংখ্যার অন্তত ৯০ শতাংশকে এই টিকা দেওয়া হয়েছিল।

বিশেশষজ্ঞদের মতে জরুরি পরিস্থিতিতে সব সময় বিশ্লেষণ করা হয় ঝুঁকি কী এবং সুবিধাই বা কী হতে পারে। তারপরেই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সুবিধা ঝুঁকির থেকে অনেক বেশি ছিল বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা ভাল গাড়ি চালানো জানা চালকের দুর্ঘটনায় পড়ার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলছেন, ওষুধের ক্ষেত্রে বিরল ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!