নতুন জার্সির রং নিয়ে বিভ্রান্তি
নিউজ ডেস্ক (অনামিকা নন্দী): সবকিছুই হয়ে রয়েছে ঠিক কিন্তু ঠিক হয়নি আসল জিনিসই। কি হবে নতুন ইস্টবেঙ্গল দলের জার্সি রং! এই নিয়ে ভক্তদের মধ্যে রয়েছে বেশ আগ্রহ।
এবারের আইএসএলে নতুন ইস্টবেঙ্গল খেলার অনুমতি পাওয়ার পরই তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। জার্সি রং থেকে নাম সবই পালটে যাবে কিনা! তা নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি। অন্যদিকে মোহনবাগান নিজের নাম ধরে রেখেছে। এমনকি জার্সিতেও রংয়ের কোন বদল বা হেরফের কিছুই ঘটেনি। তাহলে ইস্ট বেঙ্গল-এর ক্ষেত্রেও কি ধরে রাখা হবে সেই পুরনো ঐতিহ্য না বদলে দেওয়া হবে সবকিছু! নতুন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রায় ৮০ শতাংশের অংশীদারিত্ব নিয়ে থাকলেও পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আইএসএল এর নিয়ম অনুসারে, কোন ক্লাবেরই নামের সঙ্গে কোন লগ্নিকারী সংস্থার নাম যোগ করার রীতি নেই। জার্সির গায়ে নাম থাকলেও অন্য কিছুতে থাকেনা। সব খেলার ক্ষেত্রেই আমরা দেখি জার্সিতে নাম রয়েছে। সূত্র অনুসারে,যে কারণে ভাবা হচ্ছে কলকাতার ছোঁয়া রেখে নামকরণ করার। যেমন বেঙ্গালুরু এফসি, জামশেদপুর এফসি, মুম্বাই সিটি এফসি, চেন্নাই এফসি। সেরকমই কলকাতার দল হিসেবে কলকাতার ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে সংস্থা এবং দল উভয়ের তরফ থেকে। যেখানে একদিকে চলছে নাম নিয়ে বিভ্রান্তি অন্যদিকে খেলার প্রস্তুতি চলছে জোড় কদমে। কারণ এবারের আইএসএল খেলার জন্য রয়েছে অনেকটাই কম সময়। এবারের আইএসএল হচ্ছে গোয়ায়। অত্যন্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা বজায় রেখেই করা হবে সমস্তকিছু এবং সমস্ত দলকে সেপ্টেম্বরের শেষেই গোয়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। যেখানে সমস্ত রকমের পরীক্ষা করে চালু হবে অনুশীলন।
তবে দেখতে গেলে, বেশি সময় না থাকার কারণে ইস্টবেঙ্গল-এর নাম বা জার্সিতে বেশি হেরফের হওয়ারও সম্ভাবনা কম। সূত্র বলছে, প্রস্তুতি চলছে নতুন ইস্টবেঙ্গল দল গঠনেরও। যার জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন বোর্ড যেখানে আলোচনা করা হবে সমস্ত বিষয় নিয়ে এবং সেই বোর্ডে ক্লাবের তরফ থেকে থাকবে না দুজনের বেশি লোক। আবার একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়কে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করার কথাও ভাবা হচ্ছে। যে হবে ইস্টবেঙ্গলের মুখ। এমনকি খোঁজ চালানো হচ্ছে বিদেশি কোচ-এর, সঙ্গে যদিও বা একজন ভারতীয় কোচ থাকবে।
সবমিলিয়ে আইএসএলে খেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে নতুন ইস্টবেঙ্গল দলকে। নাম বা জার্সির রং যাই হোক না কেন ইস্টবেঙ্গল দলের ভক্তরা তাদের সমর্থনে থাকবেই। তবে বেশি হেরফের হবে না বলে আশা করা যায়।