কলকাতার দুর্গাপূজো বনাম অন্যান্য রাজ্যের দুর্গাপূজো
সুতীর্থা গাঙ্গুলী: কলকাতা বাঙালি হিন্দুপ্রধান শহর হওয়ায় দুর্গাপূজাই কলকাতার বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। কলকাতার মতো জাঁকজমক পূর্ণ দুর্গাপূজো আর অন্য কোথাও অনুষ্ঠিত হয় না। কলকাতায় দুই মাইল ছাড়া ছাড়া এক একটি পুজো হয়। বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা আসে কলকাতার পুজো দেখতে।
বর্তমান কলকাতার সবচেয়ে পুরনো দুর্গাপূজাটি হয় বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়িতে। কলকাতার দ্বিতীয় প্রাচীনতম দুর্গাপূজাটি হল শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপূজা। যদিও এবারের করোনা পরিস্থিতির জন্য কলকাতার দুর্গাপূজায় জাঁকজমকে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। বেশ কিছু গাইডলাইন মেনে হবে এবারের পুজো। দর্শকদের মুখে মাস্ক না থাকলে ঢুকতে দেওয়া হবে না কাউকে। একসঙ্গে ২৫ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করানো হবে না। মণ্ডপসজ্জাও হবে অনাড়ম্বর। পুজো অপেক্ষাকৃত ছোট হবে। প্রতিমা ও মণ্ডপ খুব বড় করা যাবে না। প্রত্যেক মণ্ডপের মূল প্রবেশদ্বারেই রাখা হবে একাধিক থার্মাল স্ক্যানার। গায়ে জ্বর ধরা পড়লে ফেরত পাঠানো হবে দর্শণার্থীদের। এছাড়াও এবারের নতুন উদ্যোগ হল কলকাতায় অনলাইনে দুর্গাপুজো দেখাবে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ কমিটি। কলাবউ স্নান থেকে শুরু করে মহাষ্টমীর অঞ্জলি সবই দেখানো হবে
সরাসরি সম্প্রচারিত হবে চণ্ডীপাঠ থেকে আরতি ও আলোকসজ্জাও। প্রবাসী বাঙালীরাও এই উৎসবের সাক্ষী হতে পারে।
অন্যান্য রাজ্যের দুর্গাপূজোয় জাঁকজমকতার অভাব দেখা যায় স্বাভাবিকভাবেই। এক একটা সোসাইটি এক একটা পুজো করে। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার এতদিন দুর্গাপূজোর অনুমতি দিচ্ছিলো না। অবশেষে উত্তরপ্রদেশে সর্বজনীন দুর্গাপুজোর অনুমতি দিলেন তিনি। বেশ কিছু গাইডলাইন জারি করে ওই রাজ্যে প্যান্ডেল বেঁধে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্যান্ডেলের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্গালোরে দুর্গাপূজো বেশ ভালোভাবেই হয়। প্রায় ১০০ টির মতো দুর্গাপূজো অনুষ্ঠিত হয় ব্যাঙ্গালোরে।