রক্তাল্পতা থেকে মুক্তির উপায়
নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ভারতবর্ষের মতো দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই রক্তাল্পতা সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষত তরুণীদের শরীরের রক্তের তথা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলে অল্প বয়সেই শারীরিক দিক থেকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যার ফলে অল্পতেই ক্লান্তি ভাব, হাতে-পায়ে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা যায়।
আমাদের সমাজের অনেক মানুষই রক্তাল্পতাজনিত সমস্যার দিকে নজর দেন না, এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যার ফলে অল্প বয়সেই বেশিক্ষণ হাঁটতে না পারা বা ভারী কোনো কাজ করতে না পারার সমস্যায় পরেন।
তবে এই সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় অনেকে রক্ত হওয়ার নানা রকম ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু তার থেকে যে খুব বেশি উপকার পাওয়া যায় তাও নয়। তাই চিকিৎসকেরাও প্রাকৃতিক উপায় নানা রকম খাবার দাবার খেয়ে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক, কোন ধরণের খাবারের মধ্যে দিয়ে শরীরে খুব তাড়াতাড়ি রক্ত তৈরি হবে,
প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখুন আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন জাতীয় খাবার খুবই উপকার। তাই ডিম , কচু , লাল মাংস , সিদ্ধ আলু ইত্যাদি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই খান।
ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি৯ শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে এবং রক্তাল্পতা জাতীয় সমস্যা মিটিয়ে দেয়। এর জন্য ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি৯ সমৃদ্ধ পালং শাক , বাদাম, ডাল , তিলের বীজ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ভিটামিন বি১২ থাকে এমন খাবার শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরির জন্য খুবই উপযোগী। মাছ , ডিম , দুধ থেকে ভিটামিন বি১২ আমাদের শরীর পেতে পারে।
প্রতিদিন দুপুরের খাবারে রাখুন সবুজ শাক যার মধ্যে থাকে আয়রন , ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি , প্রোটিন । যা রক্তের জন্য খুব ভালো। তাই নিজের রক্তকে ভালো রাখতে ও পরিবারের সদস্যদেরও খেয়াল রাখতে প্রতিদিন সবুজ শাক রাখুন ।
শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ফলের ভূমিকা অপরিসীম । তাই খাবার পরে বাড়িতে হোক কিংবা অফিসে ফল খেতে একদম ভুলবেন না। ফলের মধ্যে সব থেকে উপকারি হল শীতের বিখ্যাত কমলা লেবু। যা শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সব থেকে বেশি উপযোগী। এছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এছাড়াও আঙুর, গাজর, কলাও শরীরের রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
টক জাতীয় ফল যার মধ্যে ভিটামিন সি থাকে সেগুলোও শরীরে রক্ত তৈরিতে বিশেষ উপযোগী। লেবু ,স্ট্রবেরি এমনকি টমেটোতেও প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিন সি শরীরের আয়রন শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে তলে।