সমস্ত চক্রান্তই রাকেশ সিংয়ের জানালেন পামেলা
নিউজ ডেস্ক: গতকাল কলকাতার নিউ আলিপুরের এনআর অ্যাভিনিউ থেকে কোকেন-সহ গ্রেফতার হন বিজেপি যুব মোর্চার নেত্রী পামেলা গোস্বামী, সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। এরপর আজ সকালে পামেলা এবং তার গাড়িচালক ও প্রবীরকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের বাইরে গাড়ি থেকে নেমে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা কে দেখেই পামেলা গোস্বামীর গলায় শোনা গেল অন্য সুর।
গলা চড়িয়েই পামেলা দাবি করেন, আমি চাই সিআইডি তদন্ত হোক। বিজেপির রাকেশ সিং যেন গ্রেফতার হয়। এটা ওর চক্রান্ত। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং যেন অ্যারেস্ট হয়। পরেও বারবার পামেলার মুখে রাকেশ সিংয়ের নাম শোনা যায়। তিনি বলেছেন, রাকেশ সিং ইচ্ছে করে ওই ছেলেটাকে পাঠিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত কাজের জন্য পাঠিয়েছিলেন। আমি চাই সিআইডি, সিবিআই সবাই তদন্ত করুক।
এ ঘটনার পর রাতে সে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই সমস্ত কিছুর সাথে পাছে নেই। তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। কে এই রাকেশ সিং? কি কেনইবা তাকে নিয়ে এত সুর ছড়াচ্ছেন পামেলা গোস্বামী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই জানা গেল, বন্দর এলাকার বেশ নাম করা নেতা রাকেশ সিং। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ঠিক আগে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রাজ্য বিজেপির বস্তি উন্নয়ন শাখার আহ্বায়কের পদ পান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও ছিল।
ওদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তামিলের বাবা পুলিশের কাছে বেশ কিছুদিন আগে রিপোর্ট করেছিল, মামলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রবীর , পামেলাকে নেশা ধরাচ্ছে মাদকের। ইন্টেরিয়র ডিজাইনে ব্যবসার সূত্র থেকেই প্রবীরের সঙ্গে আলাপ হয় পামেলা গোস্বামীর। আর তারপর থেকেই পুলিশ সবর হয় পামেলা গোস্বামীর প্রতি।