বর্বরতার ছবি ধূপগুড়িতে, গ্রেফতার ৪

0 0
Read Time:4 Minute, 23 Second

নিউজ ডেস্ক: ফের ধূপগুড়িতে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে মহিলা ও পুরুষকে বাশের সাথে বেঁধে রাখল এলাকাবাসীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ধুপগুড়ির পূর্ব মাগুরমারীর গিলান্ডী পাড় সংলগ্ন এলাকায়। অভিযোগ, গিলান্ডি পাড় সংলগ্ন এলাকায় এক বিবাহিত মহিলার বাড়িতে অভিযুক্ত যুবক প্রায় প্রতিদিন আসতেন। এর থেকে এলাকাবাসীর সন্দেহ তৈরি হয়। তাই গতকাল রাতে ওই মহিলার বাড়িতে এলে কিছু স্থানীয় মানুষ ওই যুবককে এরপর ওই মহিলা এবং যুবককে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে বাসের মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ চলে সাথে মারধর এমনই অভিযোগ। এর পর স্থানীয়রা সন্দেহজনক ভাবে যুবককে ধরে বেঁধে রাখে।

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম, ময়নাগুড়ির পর এবার ধূপগুড়ি তে সেই বর্বরতার ছবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই মহিলার পাঁচ বছরের একটি সন্তাও রয়েছে এবং পুরুষটির বাড়ি ধূপগুড়ি নিরঞ্জন পাঠ এলাকায়। তারও দুটি সন্তান রয়েছে। এরপর বিবাহিত মহিলা এবং স্থানীয় বিবাহিত পুরুষটিকে বেঁধে রাখে গ্রামবাসীরা। স্থানীয় গ্রামবাসী কয়েকজন সেই বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাকে উত্তম মাধ্যমও দেন।

খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে। রাতেই ধূপগুড়ি থানার পুলিশ গ্রামের যায়। বেধে রাখা সেই যুবক এবং মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ আধিকারিকরা। তরিঘরি গ্রামের ছুটে যান পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চার জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সরেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যাই। গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষ ভীড় করে আছে।মহিলা আর পুরুষ কে দরি দিয়ে বেধে রেখেছে। স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরাও এসেছে।তারা বলছে তাদের হাতে দুজন কে তুলে দিতে। কিন্তু আমরা তা করতে দেই নি পুলিশ কে খবর দেই। তবে মারধর করতে আমি দেখিনি।

সমাজ কর্মী অশোক মজুমদার বলেন, আলিপুরদুয়ার ময়নাগুড়ি এবং তারপর ধূপগুড়িতে এ ধরনের ঘটনা আমরা শিউরে উঠছি। ভাবতেই পারছি না এ ধরনের ঘটনায এখানেও ঘটতে পারে। মানসিক বিকৃতি মনে হচ্ছে। লকডাউনে ঘরে বন্দী থাকতে থাকতে মানুষের মাথায় এই সব কু বুদ্ধি বাসা বাধছে। কে কার বাড়িতে আসবে কে কোথায় যাবে তাতো কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। তবুও মাতব্বরি করে এক ধরনের মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, যেটা কোনভাবে বরদাস্ত করার মতো নয়। আইন দেখার জন্য প্রশাসন আছে। আমরা আনুষ কে সচেতন করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছি।পুলিশ কে আরো কঠোর হতে হবে এবং আইন প্রয়োগ করতে হবে।

জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। এবং আরো কেউ পিছনে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করতে সচেতনতা মূলক প্রচার ও পুলিশ চালাচ্ছে, যাতে এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!