কলকাতার পর মুম্বাই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের শিকার
নিউজ ডেস্ক: শহর কলকাতায় ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড ঘটে যাওয়ার আগেই আরো একটি বড় শহরে ঘটেছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড ঘটেছিল। সেটি আর কোথাও না স্বপ্নের শহর মুম্বাই। বোম্বে হাইকোর্টের নির্দেশে মুম্বাই পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছিল। তাতে দেখা গিয়েছে যে মেডিকেল ক্লার্ক থেকে বেসরকারি হাসপাতালের মালিক পর্যন্ত জড়িয়ে রয়েছে এ কাজে। ঘটনাটা শুরু হয়েছিল ব্যাঙ্ক অফ বরোদার মালাড শাখার ম্যানেজার প্রমোদ কুমার সিং কে দিয়ে। গত বছর তিনি করোনা দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে আরো কিছু সহকর্মী করোনা দ্বারা সংক্রমিত হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে আসেন। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ম্যানেজার সহ সকল কর্মীকে প্রতাপ সিং নামে এক গ্রাহক প্রস্তাব দেন টিকাকরণের। প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের টিকাকরণ হবে। দাম প্রতি ডোজ ৮০০ টাকা করে। প্রথম টিকার পর কোন মেসেজ আসে নি ব্যাঙ্ক কর্মী সহ তাদের পরিবারের লোকেদের কাছে। সেই বিষয় নিয়ে সন্দেহ করেনি কোন ব্যাঙ্ক কর্মী। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরেও আসেনি কোন মেসেজ। যদিও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়নি হাসপাতালে। সিরিঞ্জের বাক্স নিয়ে সোজা চলে আসা হয়েছিল ব্যাংকে যেহেতু প্রতাপ সিং পেশায় একজন মেডিকেল ক্লার্ক তাই সহজেই তাকে সকলে বিশ্বাস করে নিয়েছিল।
কিন্তু এটাই সবথেকে বড় ভুল ছিল। একের পর এক ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়ে গেছে তিনি। তদন্তে নেমে মুম্বাই পুলিশ জানতে পারে শিভম হাসপাতালের মালিক শিবরাজ পাতারিয়া এবং তার স্ত্রী এই গোটা কর্মকাণ্ডের মূল পান্ডা। এখনো পর্যন্ত ২০ জনের নামে অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।