ধর্মের ভিত্তিতে শিক্ষা নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ বিজেপির আই টি সেলের প্রধানের
নিউজ ডেস্ক: মোরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম হিন্দু মুসলমান। কথাটি মুখে বলে থাকলেও আদতে কি সত্যি তাই! এই প্রশ্ন চিন্হর মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।উল্লেখ্য গতকাল প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, এবছর করোনা আবহে পরীক্ষা বাতিল হলেও নবম শ্রেণীর মূল্যায়ন ও দশম শ্রেণীর অভ্যন্তরীণ নম্বরের ভিত্তিতে এই ফল প্রকাশিত হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে এই ফল ঘোষিত হওয়ায় দেখা যায় সম্ভাব্য প্রথম স্থানাধিকারি মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি হাই স্কুলের ছাত্রী রুমানা সুলতানা। কিন্তু এখানেই বিরোধ কারণ মেয়েটির নাম ঘোষণা করার আগে শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস তার ধর্ম উল্লেখ করেন।
এরপর থেকেই নানান প্রশ্ন বানে জর্জরিত হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা মহল। সংবিধানে শিক্ষা যদি সমানাধিকার হয় তবে ধর্ম, জাত, বর্ণের মন্তব্য কেনো আসবে সেখানে! তাই নিয়েই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিধলেন বিজেপির আইটি সেলের সভাপতি তথা বিজেপির অন্যতম নেতা অমিত মালব্য। তিনি টুইটারে লেখেন বাংলা যদি সম্প্রীতির বাঙলা হয় তবে এই ভেদাভেদ কেনো? এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ একাধিক পত্র পত্রিকায় লেখা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বর্তমান শাসক দলকে তোপ দেগেছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল আসলে সাম্প্রদায়িক বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে এমন বিষয় নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে যদিও এখনও এ ব্যাপারে কোনো টু শব্দ করেননি রাজ্যের শাসক দল।