বিধানসভায় বিএসএফকে অসম্মানিত করা হয়েছে: শুভেন্দু অধিকারী
নিউজ ডেস্ক: জোরাল বিরোধী পক্ষ থাকলে যে কোনও ক্ষেত্রই সবসময় মুখর। এ রাজ্যের রাজনীতিতে আপাতত সেই মুখরতাই চাক্ষুষ করা যাচ্ছে। যে কোনও ইস্যুতে শাসকদল যখন কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে, পাল্টা চাপ বাড়াতে রাজ্যের বিরোধী বিজেপি শিবির ময়দানে নেমে পড়ছে। পেট্রোল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সেই ছবি। এবার দেখা যাচ্ছে বিএসএফ-তরজায়ও। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে তৃণমূল সরকার যখন বিধানসভায় বিরোধিতার প্রস্তাব পাশ করে ফেলল, ঠিক তার একদিন পরই বিজেপির পাল্টা দান- সটান বিএসএফের দফতরে হাজির হয়ে যাওয়া। বিএসএফ জওয়ানদের হাতে সাজি ভরা পদ্ম, হাঁড়ি ভর্তি মিষ্টি তুলে দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ টাউনে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টারে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। যাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ৬০ জনের বেশি বিধায়ক নিয়ে এদিন সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের কার্যালয়ে যান শুভেন্দু। বিএসএফকে বরণ করে নেন তাঁরা। বিজেপির বক্তব্য, এই বরণের মূল উদ্দেশ্যই হল, বিএসএফ জওয়ানকে সম্মানিত করা। অভিন্দন জানানো। কারণ সীমান্ত এলাকায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে তাঁরা লড়াই করেন, দেশকে বাঁচানোর কাজে যুক্ত থাকেন। অথচ তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। এদিন বিএসএফ-বরণ কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দেশের সুরক্ষায় আপনারা আত্মবলিদান দেন। আমাদের এজেন্ডা খুব পরিষ্কার। ভারত সরকার যে সার্কুলার জারি করেছে। বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এটা বাংলার জন্য খুশির খবর। অথচ এই ইস্যুতে বিধানসভায় চর্চা হয়েছে। অনেকে অসম্মান করেছেন। সে কারণে আমরা আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতেও এসেছি। বিএসএফ জাতি, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করছে।”