ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হোটেলিয়ার্স এন্ড ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিক সম্মেলন
নিউজ ডেস্ক:ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হোটেলিয়ার্স এন্ড ট্রাভেল এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের সাংবাদিক সম্মেলন।বিগত বছর থেকে করোনা আবহে বিঘ্নিত হয়েছে মানুষের জীবনধারা। রেস্তোরাঁ, জিম,অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্যুরিজম ব্যবসা। করোনার সময় বেশ অনেক দিনই বন্ধ ছিল হোটেল-বিভিন্ন দার্শনিক স্থান। বাতিল করতে হয়েছে সাধারন মানুষের ঘোরার পরিকল্পনা।লকডাউনের পর ধীরে ধীরে সেই ট্যুরিজম ব্যবসা কিছুটা মসৃণ হলেও আগের মতন লাভের মুখ দেখতে পারছেননা ট্যুরিজম ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষরা। ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হোটেলিয়ার্স এন্ড ট্রাভেল এজেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই কথা উঠে আসে। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেব কুমার চৌধুরী বলেন, পর্যটন শিল্পের সাথে যেমন যুক্ত রয়েছে হোটেল তেমনি যুক্ত রয়েছে এলাকার মানুষ। গ্রামীণ অর্থনীতি অনেকভাবেই নির্ভর এই পর্যটন শিল্পের উপর। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে করোনার যে বিধি চলছে তার ফলে ট্যুরিজম ব্যবসা অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছে। সরকারি তরফ থেকে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাই তাদের দাবি এই ট্যুরিজম ব্যবসাতেও ছাড় দেওয়া হোক।
সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি এই পর্যটন শিল্পে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাদের মূল দাবির মধ্যে রয়েছে: – ১) ৫০% মানুষ নিয়ে লঞ্চ, লাক্সারি বাস, হোটেল- টুরিস্ট যানবাহন শুরু করা হোক।২) সরকারের পক্ষ থেকে একটি ফাইনান্সিয়াল প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক ট্যুরিজম ব্যবসার দিকে তাকিয়ে।৩)ডুয়ার্সে জঙ্গল সাফারি এবং সুন্দরবন অঞ্চলে আবার পর্যটনশিল্পকে শুরু করা হোক ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়ে।৪) বর্তমানে যে রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা চলছে তাতে টুরিস্ট যানবাহনকে ছাড় দেওয়া হোক।৫) সরকারি পক্ষ থেকে যে সমস্ত নথিভূক্ত পর্যটন অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে তাদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজন করা হোক যাতে পর্যটনশিল্পকে আরো ভালো ভাবে গড়ে তোলা যায় ।
সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক দিব্যেন্দু চক্রবর্তী বলেন , বাসে ট্রামে যেভাবে মানুষ যাচ্ছেন এবং যেভাবে সব জায়গায় করোনা বিধিমালা হচ্ছে ট্যুরিজম ব্যবসাকে চালু করে সেই ভাবেই যাতে সব কিছু করা হোক। আগামী দিনে পর্যটন শিল্পের জন্য সরকার যদি কোন ভাবনা চিন্তা না করে তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তারা।