রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চায় তৃণমূল

0 0
Read Time:4 Minute, 34 Second

নিউজ ডেস্ক:রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চায় তৃণমূল।নবান্ন-রাজভবন সংঘাত নতুন কিছু নয়। কালীঘাটের সঙ্গেও রাজভবনের খটামটি অনেকদিন হল জলভাত হয়ে গেছে। কিন্তু জাতীয় ভোটার দিবসে বিধানসভার উঠোনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য, তারপর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুঁসে ওঠা—এসব নিয়ে পরিস্থিতি নতুন করে উতপ্ত হয়েছে ।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সেন্সর মোশন আনা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সেন্সর মোশন আনতে চাইছে তৃণমূল। সংসদে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব আনতে গেলে অধ্যক্ষের অনুমতি লাগে এটাই নিয়ম। এক্ষেত্রে লোকসভার অধ্যক্ষ অনুমতি দেবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ।যদি সেটা হয় তাহলে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটবে। স্ম

রণাতীতরণাতীত কালে সংসদে কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব আনা হচ্ছে, এমনটা কখনও হয় নি। এদিন সুদীপবাবু রাজ্যপালের সমালোচনা করে বলেন, ওঁর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে উত্যক্ত করার জন্যই ওঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। এদিনও ধনকড়ের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে বাবাসাহেব আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে রাজ্যপাল বিধানসভার উঠোনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলায় আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্র বিপন্ন। এখানে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস যে ভাবে ঘটেছে তাতে রাজ্যের গোটা ব্যবস্থাটাই বেআব্রু হয়ে গিয়েছে।’ শুধু তাই নয়। জাতীয় ভোটার দিবসের প্রসঙ্গ টেনে ধনকড় বলেছিলেন, ‘বাংলায় ভোটারদের অধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নেই। তাঁরা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। তা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’ স্পিকারের সম্পর্কে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বলেছিলেন, ‘এখানে অধ্যক্ষ যা খুশি তাই বলেন।

উনি মনে করলেন যখন যা তা বলার লাইসেন্স রয়েছে ওঁর!’ সেদিনই রাজ্যপালকে পাল্টা পাল্টা নিশানা করেছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবাবু বলেছিলেন, ‘এত রাজ্যপাল এর আগে বিধানসভায় এসেছেন। কিন্তু জগদীপ ধনকড়ের মতো অসৌজন্য কোনওদিন কেউ দেখাননি। রাজ্যপাল যা করলেন তা কোনও সাংবিধানিক পদে থাকা মানুষের শোভা পায় না। তিনি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন নাকি কোনও রাজনৈতিক দলেরসঙ্গে যুক্ত রয়েছেন নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে।’ তারপর বুধবার স্পিকার সরাসরি বলেন, এরপর কোনও অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বিধানসভায় আসতে চাইলে তিনি জানতে চাইবেন কী কারণে তিনি আসবেন। এসে কী বলবেন। এই সংঘাতের আবহেই এবার লোকসভায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চায় তৃণমূল। এর আগেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিল তৃণমূল। তা ছাড়া লোকসভাতেও একাধিকবার তাঁর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিল ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!