কৃষক কূল বৃষ্টির অপেক্ষায় চাতক পাখির মতো বসে আছে।
নিউজ ডেস্ক খবরে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহাকুমার বেশিরভাগ কৃষকরা কৃষ্ণপুর, বাইশঘরিয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বসবাস করে আসছে দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে। তারা উৎপাদিত কৃষিজ ফসল বাজারজাত করে এবং সব্জির চাহিদার যোগান দেয়। কিন্তু এবছর কৃষিজ ফসল চাষ করতে গিয়ে তাদের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জল। কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষকরা তাদের নিজের উৎপাদিত কৃষিজ ফসল উৎপাদন করতে যে জলের প্রয়োজন সেই জলের অভাবে তাদের কৃষিকাজ করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে।
কারণ, এলাকার কৃষকদের কৃষিক্ষেতে জল প্রদান করার জন্য কৃষি দপ্তর থেকে একটিমাত্র পাম্প মেশিন বসানো হয়েছে। এর উপর নেই বৃষ্টি। এতে করে স্বভাবতই কৃষকদের কৃষিকাজ করতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে বর্তমানে বৃষ্টির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে, চাতক পাখির মতো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে। সেই সঙ্গে তারা দাবি জানিয়েছেন, যদি তেলিয়ামুড়া কৃষি দপ্তর থেকে কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষকদের কৃষি কাজের সুবিধার্থে আরেকটি জলের পাম্প মেশিন বসানো হয় তবে তাদের কৃষিকাজে করতে গিয়ে যথেষ্ঠ সুবিধা হবে। এতে করে কৃষি ক্ষেত্রে জলের অভাব অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে মনে করছেন তারা।
তবে, কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষকরা ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও অফ ক্যামেরায় তারা জানিয়েছেন, মহাকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়ক রাজীব দে কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকেই কৃষি দপ্তর থেকে কৃষকদের কৃষিক্ষেত্রে উন্নতিকল্পে তেমনভাবে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তারা অভিযোগ করে আরও জানিয়েছেন, কৃষি দপ্তর থেকে কোন কর্মী কৃষকদের সঙ্গে কিভাবে কৃষি ক্ষেত্রে কৃষকরা সাফল্যের মুখ দেখবে সে বিষয় সম্পর্কেও কোন প্রকার খোঁজখবর নেন না। এতে করে কৃষি দপ্তরের কৃষি তত্ত্বাবধায়ক রাজীব দে এবং ওই দপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে তেলিয়ামুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তারা চাইছে অতি দ্রুত যেন কৃষি দপ্তর কৃষিক্ষেত্রে জলের সমস্যা নিরসনে আরেকটি পাম্প মেশিন বসায়।এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ দিবা নিদ্রায় আচ্ছন্ন কৃষি দপ্তরের কর্মীরা ঘুম ভেঙ্গে এলাকার কৃষকদের প্রতি সদয় হয়।ভিও।