উন্নয়নের বার্তা নিয়ে এসেছি আমি’, জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছেই বার্তা দিল প্রধানমন্ত্রী

0 0
Read Time:5 Minute, 0 Second

নিউজ ডেস্ক উপত্যকার সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির পর এই প্রথম উপত্যকায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পঞ্চায়েতিরাজ দিবস উপলক্ষে এদিন তিনি জম্মুর সাম্বায় একটি জনসভায় যোগ দেন। সেখানেই তিনি দেশের গণতন্ত্র বজায় রাখতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরের গ্রামীণ অঞ্চলে উন্নতি হয়েছে। বহু বছর বাদে স্বাধীনতা পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ। বাবা আম্বেদকর আজ যদি থাকতেন, তবে অত্যন্ত গর্বিত বোধ করতেন।

১) ‘জম্মু-কাশ্মীর গরিব থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তদের সস্তায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ দেশের বিকাশের জয়যাত্রায় আজ বড় ছাপ রাখছে কাশ্মীর। আমি এখানে আসার আগে পঞ্চায়েতের সদস্যদের সাথে কথা বলছিলাম। তখনই আমি মানুষের জন্য তাদের কাজের প্রচেষ্টা দেখে মুগ্ধ। সকলের জন্য কাজ করার ইচ্ছা আদপে কী হয় তা কাশ্মীরের মানুষ করে দেখিয়েছে। এইবার পঞ্চায়েতি রাজ দিবস জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হচ্ছে। এটা দেশের বুকে একটা বড় পরিবর্তনের প্রতীক। এটা খুবই গর্বের বিষয় যে আজ গণতন্ত্র জম্মু-কাশ্মীরে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে’।

২) ‘কাশ্মীরে ৩০ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি আজ মানুষের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। গণতন্ত্র হোক বা উন্নয়ন, আজ জম্মু-কাশ্মীর গোটা দেশের জন্য একটা নতুন উদাহরণ তৈরি করছে। এতদিন দেশের প্রায় ২০০-র বেশি আইন জম্মুতে লাঘু হত না। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর তা লাঘু করা গিয়েছে। এর জেরে এখানকার মহিলা থেকে শুরু করে গরিব, দলিত শ্রেণির মানুষেরা লাভবান হয়েছেন। আজ আমার গর্ব হয় কাশ্মীরের মানুষের জন্য’।

৩) জম্মু-কাশ্মীর হোক, লে-লাদাখ হোক, প্রতি জায়গা থেকেই একটা চেষ্টা চলছে যাতে সারা বছর দেশের প্রতিটা রাজ্যের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকে। এখানের প্রতিটা গ্রামের উন্নতির জন্য আমাদের সরকার অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। এবারের বাজেটে ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ’ প্রকল্পের জন্য আলাদা ভাবে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যার সুবিধা দেশের প্রতিটা প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের পাশাপাশি কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারাও পাবেন। আজ জম্মু-কাশ্মীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশের একটা একটা বড় উদাহরণ হতে চলেছ

৪) ‘পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার সুফল সম্পর্কে আজ আমরা সবাই জানি। ভারতের গণতন্ত্রের ভিত শক্ত করতে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু অনেকেই মুখে এই ব্যবস্থার বাস্তবায়ন চাইলেও কাশ্মীর যে পুরোপুরি সেদিক থেকে বঞ্চিত ছিল সেদিকে খেয়াল ছিল কারও। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে’।

৫) আগামী বছর ১৫ অগস্টের মধ্যে প্রতি জেলায় কমে করে হলেও ৭৫টি অমৃত সরোবর তৈরি করতে হবে। প্রতিটা সরোবরের পাশে গাছ লাগানোর উপর জোর দিতে অনুরোধ করব। প্রতিটা গাছ ওই এলাকার শহীদদের নামে বসাতে হবে। একইসঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যখন এই অমৃত সরোবরগুলির শিলান্যাস করা হবে তখন যে তা অবশ্যই এলাকার কোনও শহীদের পরিবারের সদস্যদের, কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের সদস্যদের হাত দিয়ে করতে হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!