যাদবপুরের সহ-উপাচার্য সামন্তক দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যু!
নিউজ ডেস্ক::অস্বাভাবিক মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সামন্তক দাসের।
এদিন দুপুরে রিজেন্ট পার্কের ফ্ল্যাট থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে তারপরে তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
সামন্তক দাস যাদবপুরে ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি বিশ্বভারতীতে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে পড়িয়েছেনষ ২০০৫ সালে তিনি যাদবপুরের তুলনামূলক ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে যোগ দেন। এর মধ্যে ২০০৭ থেকে ২০০৯ তিনি ছিলেন বিভাগীয় প্রধান। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র চর্চা
কেন্দ্র এবং স্কুল অফ কালচারাল টেক্সট অ্যান্ড রেকর্জসের প্রধান ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
তুলনামূলক ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে তিনি পডু়ায়দের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। অগাধ জ্ঞান এবং ব্যবহার তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তবে যাদবপুরে তিনি কখনও কখনও অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পড়িয়েছেন বাংলা বিভাগেও।
অধ্যাপক সামন্তক দাসের ফ্ল্যাট রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার রানিকুঠিতে। জানা গিয়েছে, পরিচারিকা এসে দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে খবর যায় আত্মীয়দের কাছে। এর মধ্যে পুলিশেও খবর যায়। দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। অন্য একটি সূত্র বলছে, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়ি গিয়েছিল তাঁকে আনতে। কিন্তু সাড়া না পেয়ে চালক ঘরে যান। তখনই তিনি ঝুলন্ত অবস্থা দেখেন অধ্যাপক সামন্তক দাসকে।
তবে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরে সামন্তক দাস মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এর পিছনে পারিবারিক কারণ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। এবং পারিবারিক সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিন ঘটনার খবর পেয়ে এমআর বাঙুর হাসপাতালে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।