পার্থের শিল্প দফতর মমতার কাঁধেই!
নিউজ ডেস্ক ::যে কোনও মুহূর্তে পদত্যাগ করবেন প্রথ চট্টোপাধ্যায়!
অন্তত বিধানসভায় গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পরে এমনটাই জল্পনা তৈরি হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ। বিশেষ করে তাঁর বান্ধবী অর্পিতারবাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই তৃণমূল কার্যত দূরত্ব বাড়িয়েছে।
এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যায় প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও তাঁরা কিছু বলবে না। আর এই বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মন্ত্রিশ্র বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে সমস্ত মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া অন্যদিকে মন্ত্রিসভার বৈঠক!
ফলে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে শিল্প দফতর পার্থবাবু’র দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া পরিষদীয় মন্ত্রী বটে। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে তাকিয়ে সবাই।
তবে এক সংবাদমধ্যমের দাবি, এখনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরাতে চান না মমতা। বরং দফতরগুলি আপাতত বন্টন করতে পারেন তিনি। তবে সম্ভবত শিল্প দফতর নিজের হাতেই রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব আপাতৎ মন্ত্রিসভার কোন অভিজ্ঞ মন্ত্রীকে দিতে পারেন।
যদিও শেষমেশ কিহয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। উল্লেখ্য, পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভা থেকে একটি গাড়ি পান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফলে সেই গাড়িতেও দীর্ঘদিন ধরে চেপেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু আজ মঙ্গলবার হঠাত করেই সেই গাড়ি বিধানসভা চত্বরে দেখা যায়।
আর তা ঘিরেই একেবারে বিতর্কের সূত্রপাত। সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দফতর থেকে বলা হয়েছে এই গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা। আর এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেবেন পার্থ? যদিও এই বিষয়ে একেবারে স্পিকটি নট তৃণমূল। এমনকি গাড়ি ফেরানো নিয়ে বিধানসভার তরফেও কিছু মন্তব্য করা হয়নি।