‘পুরো জামা কাপড়ই তো কালো হয়ে গিয়েছে’, কাকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ?
নিউজ ডেস্ক ::কোটি টাকার কাণ্ডে বারবার আঙুল উঠছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ।
খোদ তাঁর ঘনিষ্ট বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন , উদ্ধার হওয়ার টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরাই রেখে যেতেন । কিন্তু সেই জায়গায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন। কিন্তু তার সঙ্গে জিইয়ে রাখছেন কৌতুহল । প্রথমত জানিয়েছিলেন, ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। আর তারপর গতকাল তিনি জানালেন, উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল অর্থ রাশি তাঁর নয় ,সময় আসলে সবটাই জানা যাবে। এই প্রসঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলের তরফ থেকে একাধিক মন্তব্য এবং কটাক্ষ শোনা গিয়েছে। খোঁচা দিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন নি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও।
তিনি পার্থ চ্যাটার্জির ওই বিস্ফোরক মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ” কার টাকা সেটা তো বলুন! অর্পিতা বলছে আমার টাকা নয়। রাস্তায় পড়েছিল টাকা এরকম নয় তো”? একইসঙ্গে তিনি কুণাল ঘোষের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ” কুণাল বাবু বলেছেন আমার লোকেরা ধরা পড়েছিল। আমি লিখিতভাবে কোর্টে জানিয়েছিলাম যে এটা আমাদের পার্টির টাকা। ফেরত দেওয়া হোক । কোন ব্যাঙ্ক থেকে তুলেছিলাম তার তথ্য প্রমাণ পর্যন্ত দিয়েছিলাম । কোর্ট মেনে নিয়েছে। ওনার তো কোর্টে যাওয়ার হিম্মত নেই। এত টাকা নেতার বাড়িতে পাওয়া গেল, সেই টাকা আমাদের তা বলারও হিম্মত নেই । দিয়ে দাও টাকা আমাদেরকে, সেই দমও নেই। সেই জন্য অন্যের দিকে আঙ্গুল তোলার দরকার নেই। পুরো জামা কাপড় তো কালো হয়ে গিয়েছে। আপনার কথা কে বিশ্বাস করবে”?
হাওড়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অভিযোগ উঠেছিল যে ঝাড়খণ্ডের জোট সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” আগে ওই তিনজনকে জেরা করা হোক। ওরা সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করার সাহস দেখিয়েছে ,তৃণমূল তো সাতদিন লাগিয়েছে সাসপেন্ড করতে। টাকা কে দিল কোথা থেকে এল সেটা তো আগে প্রমাণিত হোক। টাকা তো কলকাতাতে, কলকাতাতে একবার ঢুকে পড়ুন, পুলিশ কিছু বলবে না । এখান থেকে নিয়ে যান ,এখানে রাখুন, এটা সেফ ব্যাঙ্ক। সেই জন্য তৃণমূল ও কংগ্রেস বড় কথা বলতে পারবে না । আমাদের কেউ ধরা পড়েনি তাই আমাদের দিকে আঙুল তুলে কোন লাভ নেই। ধরা পড়ে গেলে অনেকেই চেঁচামেচি করেন।”
আর সরকার ভাঙ্গার প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ” ওনারা ওনাদের সরকার বাঁচিয়ে না রাখতে পারলে সেটা আমাদের দোষ নয়”। গতকাল শিবসেনা এমপি সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে দীর্ঘ প্রায় ৯ ঘন্টা টানা তল্লাশি অভিযান এবং জেরার পর বিকেলের দিকে ইডি আটক করে তাকে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ” সারা দেশ জুড়ে শুদ্ধিকরণের কাজ চলছে। যারা লুটও করত চোখও দেখাতো কেন চোখ দেখাতো এখন বোঝা যাচ্ছে। কোন পার্টি নয় , কোন সরকার নয়, যারা এই ধরনের কাজ করেছে তথ্য পেয়েছে, তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মনে হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, তাই করেছে।