লক্ষ্মীর ভাঁড় ভেঙে বেরোল দশ লক্ষ টাকা
নিউজ ডেস্ক ::লাগে টাকা দেবে গৌরী থুড়ি লক্ষ্মী।
গৌরীর জন্য। পুজোর বাজেট নিয়ে চারিদিকে শোরগোল । পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো নাকতলা উদয়নের বাজেট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দমদমের নবপল্লীর পুজোয় পুজোর বাজেটের টাকা উঠছে লক্ষ্মী ভান্ডার থেকে। ৯ লাখ টাকা খুচরো কয়েনে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার ভেঙে সবার সামনে গুণে নেওয়া হচ্ছে পুজোর বাজেট। করোনার দু বছর ধরে পাড়ার মানুষ টাকা জমিয়েছিলেন তিলে তিলে। পুজোটা ভালো করে করতে হবে যা। সেই জমানো খুচরো সবাই বার করে দিলেন লক্ষীর ভাঁড় ভেঙে। তা গোনা হল। ৯ লাখ টাকা খুচরো কয়েন পাওয়া গিয়েছে। আর তা দিয়েই হবে নবপল্লীর পুজো। জানা গিয়েছে এলাকার ৭০ টি বাড়ির লক্ষ্মীর ভান্ডার দশ লাখ দু’শো টাকা পাওয়া গিয়েছে। আর এমন পুজোর উদ্যোক্তা দমদম পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পর্ণা দাস আর তাঁর পুত্রই মূল উদ্যোক্তা।
নবপল্লী ক্লবের প্রেসিডেন্ট পর্ণা দাস। তিনি আবার দমদম পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি বলেন , আমরা পুজো করি ক্লাবের আশেপাশে মানুষে যে চাঁদা দেন তা দিয়ে। এবার বিষয় হল গত দুই বছর ধরে মানুষ ভুগেছে করোনা নিয়ে। প্রচুর আর্থিক সমস্যা গিয়েছে। এখনও সমস্যায় ভুগছে অনেকে। এমন সময়ে মানুষের থেকে চাঁদা নেওয়া ঠিক নয়। আমরা মহিলা কমিটির সদস্যরা ঠিক করেছিলাম যে, আমরা লক্ষ্মীর ভাঁড়ে যত পারব টাকা জমাবো। সেই টাকা দিয়েই পুজো হবে। তো খুঁটি পুজোর দিন আমরা ঠিক করি ভাঁড় ভাঙা হবে। তো প্রায় ৭০ জন এমন লক্ষ্মীর ভাঁড়ে টাকা জমিয়েছিল। সেখান থেকে আমরা গুনে দেখলাম আমরা প্রায় ১০ লক্ষ টাকার উপর সবাই মিলিয়ে জমিয়ে ফেলেছি গত দুই বছর ধরে। খুচরোই ছিল ৯ লক্ষ টাকা।”
শিল্পী সায়ক রাজ বলেন , “আমরা করোনার সময়ে দেখেছি কীভাবে পুজো কমিটিগুল সমস্যায় পড়েছিল। এবার এই সময়ে মানুষের অবস্থাও ভালো ছিল না। সবার আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ যাচ্ছিল। এখন বিসয়টা একটি স্থিতিশিলন হলেও আর্থিক অবস্থা অনেকের খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। তো এমন সময়ে চাঁদা নিয়ে পুজো করা ঠিক নয়। লক্ষ্মীর ভাড় সঞ্চয়ের প্রতীক। সেখান থেকে পাওয়া টাকায় পুজো করার খুব ভালো উদ্যোগ। শিল্পী হিসাবে তাই কাজ করতে আমার আরও ভালো লাগছে। এমন অভিজ্ঞতা আমার হয়নি”।