‘মহাসচিব’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল কী চোখে দেখছে

0 0
Read Time:4 Minute, 9 Second

নিউজ ডেস্ক::পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের মহাসচিব ও তৃণমূল সরকারের ‘নম্বর টু’ ছিলেন।

দুর্নীতিতে নাম জড়ানো ও ইডির গ্রেফতারির পর তিনি অপসৃত হয়েছেন মন্ত্রিত্ব এবং দলের সমস্ত পদ থেকে। এখন তিনি শুধু একজন বিধায়ক। এই অবস্থায় দল তাঁকে কী চোখে দেখছে, উঠে এল দলেরই এক পুরপ্রধানের কথায়।

দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রধান। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের ক্যান্সার বলে উল্লেখ করলেন। বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের ক্যান্সার ছিলেন। তাই তাঁকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। দল পরিশুদ্ধ হয়েছে।

পুরসভার চেয়ারম্যানের কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যায় করেছেন, তাই দল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ায়নি তৃণমূল। দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি দল থেকেও তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন না তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, ততদিন তাঁকে দলে নেওয়া হবে না।

দলের তরফ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ায় পর তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা তাঁকে সমর্থন করেছেন। তারই প্রমাণ উঠে এসল তৃণমূলের এক পুরসভার চেয়ারম্যানের কথায়। দলের মহাসচিবকে বেনজির আক্রমণ করলেন তৃণমূলের নেতা বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যায় করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে বাদ দিয়েছে। শরীরের কোনও অংশে ক্যান্সার বলে কেটে বাদ দিতে হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের কাছে তেমনই ক্যান্সারের মতো। সেই ক্যান্সার বাদ দেওয়া হয়েছে।

অথচ তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভালো ইমেজই ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের আঙুল সেভাবে তুলতে পারেনি বিরোধীরা। তৃণমূলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে যতটা অভিযোগ উঠেছে, তার তুলনায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন নিষ্কলঙ্ক। হঠাৎ করেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইমেজ ধসে পড়ল। তিনি রাতারাতি কলঙ্কিত নেতা বনে গেলেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের মহাসিব ছিলেন আবার তাঁর সরকারের নম্বর টু। মমতা-ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই তাঁর পরিচিত ছিল। এহেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষে দাঁড়ালেন না মমতা। তাঁর হয়ে একটা কথাও বললেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে ব্যাটিং করতে পারলেন কিন্তু পার্থর পাশে থাকার একটা বিবৃতিও তিনি দিলেন না। পার্থ-কাণ্ডে নীরব থাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!