অবশেষে খোঁজ মিলল মানিকের
নিউজ ডেস্ক::অবশেষে খোঁজ মিলল হারানো মানিকের। ‘আমাকে যখন যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমি সেই নির্দেশ যথাযথভাবে 0মেনেছি’,প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। এদিকে শুধু খোঁজা নয়, আইনি পরামর্শ নিতে হাইকোর্টে ইডির আধিকারিকরা। লুক-আউট নোটিস জারি করল সিবিআইও।
রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’। ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় তালিকাকে বেআইনি ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। সেই তালিকায় যে ২৬৯ জনের নাম ছিল, তাঁরা কীভাবে চাকরি পেলেন? সিবিআইয়ের তদন্তে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত এবার হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে জেরা পর্ব। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে রাজ্য। নয়া সভাপতি হিসেবে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম পাল। ঘোষণা করেছেন, ‘এবার থেকে প্রতিবছর টেট হবে। নির্দিষ্ট সময়ে টেট হবে। মেরিট লিস্ট বেরোবে। আমি কথা দিচ্ছি, কোনও অভিযোগ থাকবে না’।
মানিক ভট্টাচার্য কোথায়? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি, সেদিন মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আধিকারিকরা। এরপর ২৬ জুলাই সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে। ইডি সূত্রে খবর, দুটি মোবাইল ফোনই বন্ধ। সোমবার থেকে মানিকের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অগস্টে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় তাঁকে দুই বার নোটিশ পাঠানো হয়, কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি।