আতঙ্কে মীনাক্ষী দত্তের আত্মহত্যার চেষ্টা
নিউজ ডেস্ক::পানিহাটি পৌরনিবার্চনে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী প্রার্থী অনুপম দত্ত ভোটের রেজাল্ট বের হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে আততায়ীর গুলিতে মারা যান।বাড়ির পোষ্যদের খাবার কিনতে একজনের মোটরবাইকের পিছনে বসে যাবার সময় একদম সামনে থেকে তাঁকে গুলি করা হয়।প্রথমে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজে ও পরে একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হলেও অনুপমকে বাঁচানো যায় নি।পুলিশ মুহূর্তে তৎপর হয়ে তদন্ত শুরু করে।
সূত্র মারফৎ খোঁজ পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারইপুরে অভিযান চালিয়ে মূল অপরাধী বপি পন্ডিতকে আগ্নেয় অস্ত্র সহ গ্রেফতার করে।সোমবার সেই বাপি ৩ মাসের জন্য জামিন পেয়ে যায়।অনুপম দত্তের মৃত্যুর পরে ওই সিটে পুনর্নির্বাচনে অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষীকে তৃণমূল প্রার্থী করে এবং মীনাক্ষী বিজয়ী হয়।
গত সোমবার বাপির ৩ মাসের জন্য জামিন হয়ে যায়।এর পরেই সোমবার তৃণমূলের সমর্থকরা বিটি রোডের তেঁতুলতলা মোড় অবরোধ করে ব্যাপক প্রতিবাদ জানায় এই জামিনের বিরুদ্ধে।পুলিশের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো বিষয়টা সামাল দেওয়া গেলেও,বুধবার একটি বেসরকারি চ্যানেলকে স্বাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মীনাক্ষী বলে,এবার অপরাধী বাপি প্রকাশ্য রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে।আমাদেরও খুন করে দেবে।আমার ছেলে একদম ছোটো।ও ভয়ে কুঁকড়ে আছে।
একবার ভেবেছিলাম ছেলেকে নিয়ে আত্মহত্যা করি।তারপর দলের মানুষদের নিষেধ করায় আর সেই পথে যায় নি।শুক্রবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর মিনাক্ষীকে আশ্বস্ত করে।মীনাক্ষীর নিরাপত্তার জন্য একজন পুলিশ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল।অজয় ঠাকুর আরো একজনকে মীনাক্ষীর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ করেন।কিন্তু মীনাক্ষীর ত্রাস কিছুতেই কমছে না।