আসানসোল হীরাপুরের দুর্গা পুজোয় অভিনব রীতি
নিউজ ডেস্ক::আসানসোলের হীরাপুরে দামোদর নদের তীরে ৯২ বছরের ধেনুয়া গ্রামের নিজস্ব সংস্কৃতি আজও ওরা ধরে রেখেছে নিজস্ব পুজো পদ্ধতির মাধ্যমে।ধেনুয়া গ্রামে কালীকৃষ্ণ আশ্রম অবস্থিত।সেই আশ্রমকে কেন্দ্র করেই ওদের সমস্ত ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হয়।ওদের নিয়ম মহালয়াতে দেবী পক্ষের সূচনা।আর ওই দিন ওরা দুর্গা পুজো করে মহা ধুমধামের সঙ্গে।একই দিনে সপ্তমী,আত্মীয় নবমী পুজো সমাপন হয়।নবমী পূজতে গ্রামের সবাই ভোগ প্রসাদ পায়।ওই দিন কারোর বাড়িতে রান্না হয় না।সকলেই সকাল থেকে ওই সবুজে ঘেরা সুন্দর আশ্রমে এসে উপস্থিত হয়।প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে পুজোর দায়িত্ব পালন করে।
ওই মন্দিরের বংশ পরম্পরা পুরহিত আশিস ঠাকুর বলেন,কয়েক প্রথম থেকেই এখানে দেবী আরাধনার এই রীতি চলেছে।তিনি বলেন,১৯৩০ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো শুরু হয়।চার রকমের ভোগ হয়।দশমীতে ঘট বিসর্জন হয়ে গেলে মাতৃ প্রতিমা রেখে দেওয়া হয় এক বছর।পুজো কমিটির প্রধান বলেন,এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা জ্যোতিন মহারাজের গুরু তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে ৯২ বছর আগে এই পুজো শুরু করেন।
এখানে দেবী মূর্তির অভিনবত্ব আছে।দেবী সিংহে উপবিষ্ঠ হলেও অসুরদলনী নয়।তবে একই দিনে আগমনী ও বিসর্জন হয় বলে ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা দুঃখে কাতর হয়ে ওঠে।