বীরভূমের অন্যতম বনেদী বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম কীর্নাহারে সরকার বাড়ির পুজো
নিউজ ডেস্ক::এই পুজোর বয়স অন্তত ৩৫০ বছর বলে সরকার বাড়ির একাদশতম প্রজন্মের প্রতিনিধি রাজা সরকার জানান।একাধিক বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ এই দুর্গাপ্রতিমা।আসলে এই প্রতিমাকে ওরা চামুন্ডা রূপে পুজো করে আসছে ৩৫০ বছর ধরে।তাই ওই প্রতিমার দুটি হাত স্বাভাবিক।কিন্তু বাকি আটটি হাত ছোট।তাই এলাকায় ওই দুর্গা ‘ছোট হাতের দুর্গা’ নামে প্ৰচলিত।সম্ভবত ওই আটটি হাত আসলে প্রতীক।যেহেতু দেবী চামুন্ডা দ্বিহাতি তাই দেবী দুর্গার রূপ দেবার জন্য প্রতীক হিসাবে ওই আটটি হাত ছোট করা হয়েছে।
রাজা সরকার জানান,জীবন ও জীবিকার কারণে অনেকেই এখন আর এখানে থাকে না।দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ও বিদেশেও ছড়িয়ে আছে।তবে পুজোর সময় সবাই চেষ্টা করে কীর্নাহার এর বাড়িতে সমবেত হতে।পুজো হয়ে ওঠে ওই পরিবারের একটা মহান গেট টুগেদার।
ওই মূর্তির আরো বৈশিষ্ট্য হলো এখানে দেবী দুর্গার বাহন সিংহ নেই আছে এক নরসিংহের মূর্তি।আর কার্তিকের বহন ময়ূর দিব্যি অবস্থান করলেও বাকি কারোর বহন নেই।
এই পুজোর প্রধান রীতি হোম-যজ্ঞ।সপ্তমীতে যে হোম শুরু হয়,তা শেষ হয় দশমীতে বিসর্জনের পরে।এই চার দিন ধরে হোমের আগুন জ্বলে।কিন্তু কেন এই রীতি?দেবী দুর্গা সমস্ত পাপ পুড়িয়ে পুণ্যের প্রতিষ্ঠা করবে – এ ক্ষেত্রে এমন রূপকের কথা অনেকে বলেন।
সরকার বাড়ির মূল পূজা মন্ডপ এখনো অক্ষত রেখে পিছনে ওরা নতুন আবাস তৈরি করেছে।