বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো – কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর পুজো
নিউজ ডেস্ক::কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত আছে বাংলা শিল্প-সাহিত্য জগৎ।তিনি বহু শিল্পী সাহিত্যিককে নানাভাবে পৃষ্ঠ পোষকতা করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন।তিনি ছিলেন,সমাজ সচেতন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
কৃষ্ণচন্দ্র দুর্গা প্রতিমাকে রাজ- রাজেশ্বরী রূপে প্রতিষ্ঠ করেন।প্ৰচলিত দুর্গা প্রতিমা থেকে এই প্রতিমা আলাদা।
দেবী দুর্গার সামনের হাত দুটি বড়ো ও পিছনের আটটি হাত তুলনামূলকভাবে ছোট।দেবী গায়ে বর্ম পরিহিত।যুদ্ধের বেশে সজ্জিত।
প্ৰচলিত রীতি অনুযায়ী মহালয়ার পরের দিন থেকেই জ্বলে হোমের আগুন,তা চলে নবমী পর্যন্ত।কৃষ্ণচন্দ্রের দেবী মূর্তি প্ৰচলিত ডাকের সাজের নয়।অভিনব ডাকের সাজে – যাকে বলে ‘বেদেনি ডাক।’
এক সময় কামান দেগে সন্ধি পুজো শুরু হতো। এখন অবশ্য প্রথা অনুযায়ী ১০৮ টা, পদ্ম ও প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধি পুজো হয়।পুজোর ভোগ শুরু হয় মহালয়া থেকে।খিচুড়ি,তরকারি,বিভিন্ন রকম ভাজা,চাটনি,পায়েস আর কৃষ্ণনগরের অভিনব মিষ্টি তো থাকেই সঙ্গে অভিনবত্ব হচ্ছে,সপ্তমীতে সাত রকম ভাজা,অষ্টমীতে আট রকম ও নবমীতে ন’রকম ভাজা হয়।
দশমীতে বিষাদের সুর।গলা ভাত আর সিঙ মাছ।প্রজা দরদী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় থেকেই এলাকার মানুষের তাঁর পূজতে এসে নিয়মিত প্রসাদ নিতেন।সেই রীতি এখনো চলছে।আর দশমীতে এই বাড়িতে ‘সিঁদুর খেলা’ চোখে পড়ার মতো।এলাকার সব মহিলারা ও কৃষ্ণচন্দ্রের বংশধরেরা এই সিঁদুর খেলায় অংশ নেয়।