কলকাতার রাস্তায় ঝাল-মুড়ি-চা বিক্রি করলেন বিজেপি বিধায়করা!
নিউজ ডেস্ক::কেউ ঝাল-মুরি বিক্রি করছেন তো কেউ আবার আলুর দম! বঙ্গ বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়কদের এমন কাজ করতে দেখে অনেকেই চমকে উঠলেন। বিশেষ করে পথ চলতি মানুষজন একেবারে ঘাবড়ে ওঠেন। সবার চোখে মুখে একটাই কৌতূহল! এমন ভাবে ঝালমুরি-আলুর দম কেন বিক্রি করছেন বিজেপি বিধায়করা। কার্যত বৃহস্পতিবার এভাবেই অভিনব বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বঙ্গ বিজেপি বিধায়করা। আর এই বিক্ষোভে শামিল হন একাধিক নেতা-কর্মীও।
গত কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী চা বিস্কুট বিক্রির পরামর্শ দেন। শুধু তাই নয়, ঝাল-মুরি বিক্রির কথা বলেন। মমতা পরামর্শ দেন, আপনার কাছে টাকা নেই। আপনি এক হাজার টাকা নিন, এক হাজার টাকা নিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আস্তে আস্তে বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন, তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, মা একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আরেকটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে, দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না।’
আর মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। শুরু হয়েছে বিতর্কও। আর এর মধ্যেই বঙ্গ বিধানসভাতে অভিনব প্রতিবাদে শামিল হন বিজেপি বিধায়করা। গত কয়েকদিন ধরেই একাধিক ইস্যুতে উত্তাল হয় বিধানসভা। এমনকি বুধবারও শান্তিনিকেতনের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। আর এরপর বিধানসভার গেটের বাইরে একেবারে কেউ নিয়ে বসলেন ঝালমুরি তো আবার কেউ নিয়ে বসলেন চা বিস্কুট। একেবারে গান গাইতে গাইতে চলে বিক্রি বাট্টা…! আর এভাবে বিজেপি বিধায়কদের দেখে একেবারে চমকে যান পথচলতি মানুষজন।
তবে এই বিষয়ে আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ ঘোষ। প্রশাসনিক প্রধানের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘ রাজ্যে যখন আর কোনও দিশা থাকেনা, তখন মানুষকে এভাবেই ভুলিয়ে রাখতে হয়। সরকার দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। লক্ষ্য নেই। উদ্দেশ্য নেই। রোড ম্যাপ নেই। ট্রেনিদের কাগজ ধরিয়ে বলছে চাকরি দিলাম। পুরো ঢপবাজি চলছে। ওদিকে কেজরিওয়াল মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদিকে মমতা মুখ থুবড়ে পড়েছেন।’
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই পুজো উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিন গেলেও আজ বিধানসভাতে যাননি তিনি। অন্যদিনের মতো বৃহস্পতিবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বঙ্গ বিধানসভাতে। তবে আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।