আসনসলের তৃণমূলের যুবসম্পাদক বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জির বিস্ফোরক মন্তব্য
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল কিছুতেই থামছে না।কখনো প্রকাশ্যে কখনো আবার সিস্যাল মিডিয়ায় সেও অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়ে যায়।সম্প্রতি
ফেসবুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যের মন্ত্রী ময়ল ঘটক ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শিব দাসন দাসু সহ সালানপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিংকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী।তিনি ফেসবুকে প্রথমে পোস্ট করেন ভোলা সিং নামক ব্যাক্তি টা কে?যে কুলটি পুলিশ কে বলছেন কুলটি বিধানসভা আমি বুঝে নেবো ওনাকে আমি অনুরোধ জানাবো আগামী দিনে যদি কয়লা,লোহা,গরু পাচার সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে আমি আন্দোলনে নামলে তার দায়িত্ব কিন্তু ওনাকেই নিতে হবে।
তবে তার পোস্ট ঘিরে বোঝা যায় তৃণমূল নেতারা কুলটি বিধানসভাতে অবৈধ কয়লা,লোহা,গরু পাচারে যুক্ত রয়েছে।তাছাড়া পোস্টের ভিতরে কমেন্ট করে তিনি সরাসরি ভোলা সিংকে লোহা চোর,বালি চোর,গরু চোর বলে কটাক্ষ করেন।এবং পরিবর্তী পোস্ট করে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী ময়ল ঘটক ও জেলার তৃণমূল নেতা শিব দাসন দাশুকে জোকার বলে কটাক্ষ করেন।এই পোস্ট ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
তবে এই বিষয়ে সরাসরি বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী বলেন ময়ল ঘটক আমার গুরু,আইডেল ২০০৪সালে ওনার সাথে আমি শ্রমিক রাজনীতি করেছি ওনি আমাকে আইএনটিটিইউসির দায়িত্ব দিয়েছিলেন।তখন কার মলয় ঘটক আর এখন কার ময়ল ঘটকের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে ময়ল ঘটক এখন হারিয়ে গেছে।আর দাশুর নিয়ে তিনি বলেন তাকে তিনি নেতাই মানেন না তবে তার নিয়ে কি বলবেন দাশু হচ্ছে জোকার।আর ভোলা সিং এর নিয়ে বলেন কিছু দিন আগে কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির বডিরা এলাকায় কিছু যুবক একটি গরুর গাড়ি আটক করে ছিলো এবং পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলো।তার পরিণাম স্বরূপ ভোলা সিং বদলা নেবার জন্য বিধায়কের নাম করে পুলিশকে ফোন করে সেই যুবকদের ছিনতাই সহ বিভিন্ন কেস দেওয়াই।
তবে এই নিয়ে ভোলা সিং বলেন কে বিশ্বজিৎ তাকে আমি চিনি না আর পাগলে কি না বলে।তার মাথা খারাপ তাই যা পারছে বলছে।মানুষ বলবে ভোলা সিং কি?কারণ আমরা মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করি।তবে এই বিষয়ে কোনো রকম মন্তব্য করেনি জেলা নেতৃত্বরা।এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের নেতৃত্বরা।