ভ্ৰাতৃ দ্বিতীয়া – ঋকবেদে যম যমির উপাখ্যান
নিউজ ডেস্ক::ভারতীয় সভ্যতার একটা বড়ো অংশ আসলে আর্য সভ্যতা।তবে এর সাথে অনার্য সভ্যতার মিলনেই পূর্ণতা পায় ভারতীয় সভ্যতা।
সেই যুগে আর্য ও অনার্য সকলের মধ্যেই ভাই-বোনের সহবাসের কথা আছে।
ঋকবেদের ১০ম সংহিতায় যম ও তাঁর বোন যমুনার একটা কাহিনী আছে।কোনো এক সময় এই দুই ভাইবোন কোনো এক নির্জন দ্বীপে ভ্রমণকালে যমুনার কাম উদ্দীপ্ত হলে যমুনা তার ভ্ৰাতার সাথে সহবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করে।তখন মৃত্যুর দেবতা যম বোনকে বোঝায় যে আর্য ও অনার্য সভ্যতার মধ্যে ভাই বোনের মিলনের রীতি থাকলেও তা সমাজ ও শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।যম বোনকে বলে, তুমি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে সহবাস করো।কিন্তু একই পিতার ঔরসজাত আমাদের দুজনের সম্পর্ক বড়ো মধুর।এটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নয়। একই পিতার ঔরসজাত ভাই বোনের মিলনে যে সন্তানের জন্ম হয় সে শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়।
দীর্ঘ সময় বোঝানোর পরে যমুনা নিজেকে সংগত করে লজ্জা মুখর হলে মৃত্যুর দেবতা বলেন, আজ কার্তিক মাসের অমাবস্যার দ্বিতীয়া।আজ তুমি আমায় ভোজন করাবে ও কপালে তিলক কেটে ভাই ও বোনের সম্পর্ককে মধুর করবে।যমুনা তাই করে এবং সেই থেকেই ভ্ৰাতৃ দ্বিতীয়া প্ৰচলিত হয় পৃথিবীতে।