ত্রিপুরায় প্রচুর ড্রাগস সহ এক ড্রাগস বিক্রেতা গ্রেফতার
নিউজ ডেস্ক::ভারতের প্রান্তিক পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরা।প্রকৃতি এখানে নিজেকে উজাড় করে সাজিয়েছে।কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এমন অনুপম রাজ্যকে কলঙ্কিত করছে নেশার দ্রব্য।
সূত্রের খবর,
সাত সকালে গোমতী ত্রিপুরা জেলা মন্দির নগরী উদয়পুর গোমতী জেলা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে বাইক এবং ড্রাগস সহ আটক এক ড্রাগস বিক্রেতা। আটক হওয়া ড্রাগস বিক্রেতার নাম সুজন দাস।বাড়ি গকুলপুর বলে জানা যায়। সকালে
গোমতী ত্রিপুরা জেলা উদয়পুর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে TR03M-4865 নম্বরের একটি পালসার বাইক নিয়ে অভিযুক্ত ড্রাগস বিক্রেতা সুজন দাস ঘুরাফেরা করলে স্থানীয় দোকানিদের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কোন সঠিক কোনো উওর না দিলে ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে। স্থানীয় লোকজনরা বাইক সহ তাঁকে তল্লাশি করলে প্রচুর সংখ্যক ড্রাগসের কৌটা উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় উদয়পুর রাধা কিশোরপুর থানায়। ড্রাগস সহ কুখ্যাত ড্রাগস বিক্রেতা আটক হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পালসার বাইক সহ অভিযুক্ত ড্রাগস বিক্রেতাকে আটক করে উদয়পুর রাধা কিশোরপুর থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে গোমতী ত্রিপুরা জেলা উদয়পুর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে নেশার সামগ্রী সহ ড্রাগস বিক্রেতা আটক হওয়ার ঘটনায় গোটা পুলিশ লাইন এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।এদিকে ড্রাগস বিক্রেতা সুজন দাস সাংবাদিকের সামনে বুক ফুলিয়ে বলে, সকালে গোমতী ত্রিপুরা জেলা উদয়পুর পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে কোন এক পুলিশ কর্মী তাকে টেলিফোনে যোগাযোগ করে। ওই পুলিশ কর্মীকে ড্রাগস দেওয়ার কথা বলেছে। তাই ড্রাগস বিক্রেতা সুজন দাস ড্রাগস নিয়ে গোমতী ত্রিপুরা জেলা উদয়পুর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে এসেছে।
এখন দেখার বিষয় ড্রাগস বিক্রেতা সুজন দাস কি নিজকে বাঁচার জন্য গোমতী ত্রিপুরা জেলা উদয়পুর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এক পুলিশ কর্মীর উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে? নাকি সে ড্রাগস বিক্রিতা সুজন দাস সত্যি বলছে – তা এখন পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে সব বের হয়ে যাবে। পুলিশ এখন ড্রাগস বিক্রেতা সুজন দাসের কথায় সঠিক তদন্ত করবে, নাকি নমঃনমঃ করে তদন্ত করে ঘুমিয়ে থাকবে তা এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে?
ত্রিপুরায় মাফিয়া চক্র ইদানিং যে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে।তা নিয়ে নাগরিক মহল বেশ চিন্তিত।