আলুর সঙ্গেই হচ্ছে কুমড়ো চাষ!
নিউজ ডেস্ক::আধুনিক কৃষিকাজের ধরন কৃষকদের আরও উন্নতির শিখরে নিয়ে চলেছে। হেমন্ত ঋতুতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় আলু চাষের পাশা পাশি কুমড়ো চাষ বাড়ছে। কৃষকরা একই জমিতে আলু ও কুমড়ো চাষ করছে। এই মিশ্র চাষের ফলে একটু বেশিই লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড়, মেমারি, জামালপুর ও পূর্বস্থলীর একাধিক কৃষকরা কুমড়ো চাষের দিকে ঝুঁকেছে।
কৃষকদের বক্তব্য অনুযায়ী একটি কুমড়ো প্রায় ১০ থেকে ১৫কেজি ওজনের হয়। ওই কুমড়ো বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। পাইকারি বাজারে ওই কুমড়ো বিক্রি করলে লাভের পরিমান আরও বেশি থাকে। কুমড়ো আমরা কম বেশি সারা বছরই দেখতে পাই। কুমড়ো পুষ্টিকর একটি খাদ্য এটি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। কচি অবস্থা থেকে শুরু করে পরিপূর্ণ পাকা অবস্থাতেও খাওয়া যায়। তাই কচি অবস্থা থেকেই ফসল সংগ্রহ শুরু করে অনেকেই। তাই কুমড়ো বিক্রি করে বেশি পরিমান টাকা আদায়ের উপর জোর দিচ্ছে কৃষকরা।
কুমড়ো চাষের জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু প্রয়োজন। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকলে গাছের দৈহিক বৃদ্ধির হার কমে যায়। কুমড়ো চাষের জন্য দোঁআশ বা এঁটেল মাটি খুবই ভালো। ভালো ফসল ফলাতে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করলে ফসলের ভালো ফলন পাবেন। গবাদি পশুর গোবর সংগ্রহ করে জমিতে ছড়ালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
কুমড়ো বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া যায়। ছোলা দিয়ে রসিয়ে কুমড়োর ছক্কা। আবার পুইশাক-কুমড়োর চচ্চড়ি। কুমড়োর হালুয়াতো জিভে জল আনার মতন খাবার। একটি কুমড়োয় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন A, ভিটামিন C, ভিটামিন E, বি-কমপ্লেক্স। এছাড়াও বিটাক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ফ্লেভনয়েড, লিউটিন, আলফা হাইড্রক্সাইড, আয়রন ইত্যাদি। কুমড়োর স্বাস্থ্য গুনের জন্য সব সিজেনেই চাহিদা বেশি। তাই এ-কারনে শীতে কুমড়ো ফলিয়ে কামাল করতে চাইছে কৃষকরা।