শুভেন্দুর নালিশ দিল্লির কাছে
নিউজ ডেস্ক : আনন্দ বোস রাজ্যপাল হয়েছেন একমাস আগে। রাজ্যপাল পক্ষপাত দুষ্ট বলে দিল্লির কাছে নালিশ জানাচ্ছে বিজেপি। আর পুরোধা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সূত্র মারফত খবর।
বোসের পূর্বসূরী জগদীপ সম্পর্কে ঠিক এই অভিযোগ তুলতো তো শাসক শিবির। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়ের পাল্টা বক্তব্য, ” বিজেপি যদি ভেবে থাকে সব রাজ্য পালই অতীতে জগদীপ ধন খাড়ের মত বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন”। রাজ্যপাল হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিক্ষোভে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় কে উদ্ধার করতে ছুটে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। নিশানয় বৃদ্ধ করেছিলেন প্রশাসন ও শাসকদলকে।তারপর থেকে টানা দুই বছর নবান্নও শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল। তার ভিত্তিতে নানাভাবে সরকার এবং শাসক তৃণমূলকে প্রশ্নের মুখে ফেলতেন। ত খন তৃণমূল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাতেন।
প্রাক্তন আইএ এস বোস রাজ্যপাল হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন,’ এই রাজ্যপাল প্রকৃত অর্থে ভদ্র মানুষ উনি রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করছেন ‘। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের বাইরে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্কের বিষয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। থ্যাংক ইউ বলে চলে যান।
সংগঠন নিয়ে সেদিনের বৈঠকে বিভিন্ন সাংসদদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অমিতাভ চক্রবর্তীকে।
একাধিক বিজেপি সাংসদ তার নাম না করে সমালোচনা করেন। সব থেকে বেশি সরব ছিলেন বনগাঁর সংসদ সান্তনা ঠাকুর।তার অভিযোগ, সংগঠনিক ঢিলেমির কারণে তার এলাকায় শুধু জেলা সভাপতি আছেন। বুথ কমিটি তো দূরে থাক মন্ডল কমিটি পর্যন্ত তৈরি হয়নি। সংগঠনিক সমস্যা নিয়ে সরব হন নিশিত প্রামানিক, সৌমিত্র ও জগন্নাথ সরকাররা।সূত্র এর মতে,বৈঠকে নাড্ডা রাজ্য নেতৃত্ব কে গোষ্ঠী বিবাদ ভুলে দোলের স্বার্থে এক জোট হয়ে কাজ করার বার্তা দেন। বিজেপির এক সাংসদ কোথায়,’ সেদিন সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়ে সাংসদেরা যেভাবে সরব হন, তাতে নাড্ডা বুঝেছিলেন, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব কতটা প্রবল। ফলে ক্রমশ মনোবল হারাচ্ছেন কর্মীরা।