তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি ত্রিপুরায়
নিউজ ডেস্ক::ত্রিপুরায় নতুন ভোর আনার অপেক্ষায় শক্তি বাড়িয়েই চলেছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই তৃণমূল এলাকায় শক্তিবৃদ্ধি করে চলেছে। সম্প্রতি সেবা দলের সভাপতি রিপন দত্ত যোগ দিয়েছেন তৃণমূল। এবং সোনামূড়া থেকে শুরু করে ফুলবাড়ি-সহ একাধিক এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার যোগ দেয় তৃণমূলে।
ভোট ঘোষণা হতেই তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বহু কর্মী সমর্থক। যেমন সেবা দলের সভাপতি রিপন দত্তের সঙ্গে প্রায় ১২৫টি পরিবার যোগ দিয়েছে তৃণমূলে। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিতিতে তাঁরা যোগদান করেন।
এছাড়া সোনামুড়ায় ১০টি পরিবারের প্রায় ১১২ জন সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছে। তৃণমূলের পদাধিকারী হাবিব মিঞা, নীলকমল সাহা, জসীমুদ্দিনদের উপস্থিতিতে এই যোগদান হয়। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপা্ধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান যোগদানকারীরা।
এছাড়া শনিবার তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি করে দলে যোগদান করেন ১৬টি পরিবারের ৭১ জন সদস্য। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রশান্ত সেন, রাহুল মজুমদার, নিকুঞ্জ ত্রিপুরা, শিবানি ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন এই যোগদান পর্বে। সোনামুড়ায় ১০টি পরিবারের আরও ২৫ জন এদিন যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
এর আগে বৃহস্পতিবার কদমতলা বিধানসভা এলাকার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৫টি পরিবার যোগদান করে তৃণমূলে। সোনামূড়ায় সাতটি পরিারের ৫৬ জন ভোটার যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সমস্ত নতুন যোগদানকারীকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জাননো হয় প্রকৃত সুশাসন কাকে বলে তা বাংলায় করে দেখিয়েছেন মমতা বন্যোতরপাধ্যায় ত্রিপুরাতেও আমরাও কেবল বিকল্প।
তৃণমূলের তরফে দাবি, প্রতিশ্রুতিপূরণ কাকে বলে তা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার। ত্রিপুরাও সেটাই দেখাবে। মানুষের পাশে থাকার বার্তা নিয়েই আমরা জনতার দরবারে যাচ্ছে। মানুষ আমাদের নিরাশ করবে না। ক্ষমতা নয়, মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।
এদিকে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে মুখে তৃণমূল চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ত্রিপুরায় দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেব। এদিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্য সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাসের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তাঁদের মধ্যে ত্রিপুরা ভোটের রণকৌশল নিয়ে কথা হয় এদিন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তৃণমূলের বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। টিপ্রামোথার সঙ্গে সমঝোতায় তাঁরা আগ্রহী। সেই সম্ভাবনার দুয়ার খুলে রেখেই তাঁরা ত্রিপুরায় ঝাঁপাচ্ছে। প্রয়োজনে টিপ্রামোথার জন্য কিছু আসন ছেড়ে রাখতে পারে তৃণমূল।