সাবধান,আমি এবার পাহারাদারের ভূমিকায়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আরও একটা সুযোগ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে সাবধান করে দিলেন বিরোধীদেরও। শনিবার কেশপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, গেরুয়া জামা গায়ে সন্ত্রাসের দিন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে কেশপুরে। সাবধান, আমি এবার পাহারাদারের ভূমিকায়।
এদিন কেশপুরে অভিষেক বলেন, গোষ্ঠীবাজি রোখার ওষুধ রয়েছে। তাই সুযোগ দিচ্ছি শুধরে যান। নইলে ওষুধ দেব। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি পাহারাদার। তৃমমূল নেতা-কর্মীদের বলছি, কে কোথায় কী করছেন, সব নজর রাখছি। কয়েকজন নেতার কাজে দলের মাথা নত হতে দেব না।
তিনি বলেন, যাঁরা ভাবছেন মানুষের কাজ না করে ঘুরে বেড়াব, তা হবে না। ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। যাঁরা দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের ছেড়ে কথা বলবে না দল। তিন-চার জন নেতার রেষারেষিতে দলের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের বলছি আগে থেকে সাবধান হন।
মানুষের কাজ যাঁরা করছেন না, তাঁদের সবার উপর নজর রাখা হচ্ছে। যাঁরা ভাবছেন অনেক নামের মাঝে দু-একটা নাম ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে, তাঁরাও সাবধান হন। এখন থেকে সাবধান না হলে কিন্তু সঠিক সময়েই ওষুধ প্রয়োগ করা হবে।
অভিষেক এদিন স্পষ্ করে দেন, কোনো দাদার তল্পিবাহক হয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না। পাহারাদারির দায়িত্বে আমি আছি। যাঁরা ভাবছে মানুষের কাজ না করে ঘুরে বেড়াব তা হবে না। ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। মানুয সার্টিফিকেট দিলে তবেই টিকিট।
অভিষেক বলেন, এবার প্রত্যেক পঞ্চায়েতে অবাধ নির্বাচন হবে। সমবায়ে বাম-রাম এক হয়েও আমাদের হারাতে পারেনি। যাঁরা পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিতে পারবেন না, এক ডাকে অভিষেকে ফোন করুন, আমি নিজে মনোনয়নের ব্যবস্থা করব।
অভিষেক এদিন শুধু দলকে সাবধান করেই ক্ষান্ত হননি, অভিষেক সাবধান করে দিয়েছেন বিরোধী দলগুলিকেও। তাঁর অভিযোগ গেরুয়া জামা গায়ে কেশপুর সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে ভোট করবে, তারপর নির্বাচন মিটলে তৃণমূলের জামা গায়ে পরে নেবে, তা আর হবে না।
অভিষেক অভিযোগ করেন, বাংলায় জিততে পারেনি বলে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের সরকার। আমরা ১১ লক্ষ মানুষের তালিকা পাঠিয়েছি কেন্দ্রের সরকারকে। কিন্তু তার সিকিভাগও বরাদ্দ করা হয়নি। আমাদের দলে থকাতে হলে সততরা সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। এবার পঞ্চায়েতে মানুষ ভোট দেবেন। মনে রাখবেন,
করে কম্মে খাওয়ার দিন শেষ।