রাজনীতিকদের বিবাহ বিচ্ছেদ – নতুন মাত্রা

0 0
Read Time:3 Minute, 29 Second

নিউজ ডেস্ক::একাধিক বড়ো রাজনীতিক বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত জটিলতায় বেশ নাজেহাল। সম্প্রতি কোলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হচ্ছে। সোমবার সেই বিবাহবিচ্ছেদের শুনানি ছিল। সোমবার শোভনদেব অভিযোগ করেন, আগের শুনানির দিন আদালত চত্বরে গন্ডগোল এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘অভদ্র আচরণের’ নেপথ্যে তৃণমূল বিধায়ক রত্নার লোকেরাই ছিলেন। বৈশাখী যাতে ওই মামলায় সাক্ষ্য দিতে না পারেন, তাই ‘ভয়’ দেখানো হয়েছে বলেও দাবি করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন। রত্নাকে আক্রমণ করেছেন বৈশাখীও। তাঁর মতে, এক জন জনপ্রতিনিধি যদি হুঁশিয়ারি দেন, তা হলে ভয় পাওয়ারই কথা। কিন্তু তিনি ভয় পাওয়ার পাত্রী নন।

সোমবার পুলিশ যথেষ্ট নিরাপত্তার সঙ্গেই শোভন-বৈশাখিকে আদালতে নিয়ে আসেন। শুনানির পর কলকাতার প্রাক্তন মেয়র জানান, আগের শুনানিতে যা ঘটেছিল, তা একেবারেই কাম্য নয়। এর পরেই স্ত্রীকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আগের শুনানিতে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের লোকজন অসভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল আদালতের ভিতরে ও বাইরে। নোংরামো চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ওই ঘটনার পর পুলিশের কাছে প্রোটেকশন চেয়েছিলাম। পুলিশ তা দিয়েছে। এর জন্য আমি পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ।’’ এদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায় সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের দলের কেউ বাধা দেয় নি। ওটা ছিল ব্যভিচারের বিরুদ্ধে ‘জনরোষ’।

উল্টো দিকে বৈশাখী জানান,
চাপ সৃষ্টি করতেই তাঁকে ‘গালিগালাজ’ এবং ‘অশালীন অঙ্গভঙ্গী’ করা হয়েছে। বৈশাখী বলেন, ‘‘আদালত চত্বর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রত্না। এক জন জনপ্রতিনিধি এই ধরনের কথা বললে ভয় পাওয়ারই কথা। কিন্তু আমরা হাত-পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকব না।
রত্না বলেন,তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই আবেদন করে চলেছি। কখনো তো তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসে নি। আমি কোনো লোক নিয়েও আসি নি। যেহেতু  এখন আমি বিধায়ক হয়েছি। আমার সঙ্গে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী থাকে। তাতে ওঁদের মনে হচ্ছে, আমি ভয় দেখাচ্ছি! আমার আর কিছু বলার নেই। তবে এই ভয়টা ভাল। ওঁরা দেখুন, ভয় পেলে কেমন লাগে।’’ এখন দেখার যে কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!