বিজেপির কোনও প্রতিযোগিতা নেই ২০২৪-এর নির্বাচনে, দাবি অমিত শাহর
নিউজ ডেস্ক::ত্রিপুরার নির্বাচনে বিজেপির স্টার বক্তা তিনিই। সেখানে প্রচারের শেষ দিনে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করলেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কোনও প্রতিযোগিতাই নেই। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গেই রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন বিজেপির প্রধান বিরোধী কে হবেন, তা নিয়ে। এই মুহূর্তে দেশে প্রধান বিরোধী কেউ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেছেন, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের মতো রাজ্যে তিনি প্রচারে অংশ নেননি। তবে নির্বাচনে রাজ্যগুলিতে বিরোধীদলের শক্তি বোঝা যাবে, একসময়ে তারা যেখানে শাসন করেছে। অমিত শাহ দাবি করেছেন, শুধু উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যেই নয়, এই বছরে নির্বাচন হতে যাওয়া কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ , রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়েও বিজেপির ফল ভাল হবে।
অমিত শাহ বলেছেন, ভারত সব ক্ষেত্রেই অগ্রগতি করেছে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিরক্ষায় আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত এখন বিশ্বের কাছে দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেছেন, ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত আট বছরে ভারত অন্য দেশের ওপরে নির্ভরতা ৩০ শতাংশ কমিয়েছে।
তিনি বলেছেন, দেশের অগ্রগতির পাশাপাশি দেশকে নিরাপদ করাই নয়, দেশের অর্থনীতিকে বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, আট বছরের কম সময়ের মধ্যে মোদী সরকার দেশের ৬০ কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাতে সরকার সফলও হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মহাকাশ গবেষণায় ভারত সবার আগে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নতুন নীতির সঙ্গে ভারত ড্রোন সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোদী সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় সফল বলেও দাবি করেছেন অমিত শাহ। একদিকে যেমন জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের ওপরে সরকার নিয়ন্ত্রণ এনেছে, অন্যদিকে দেশের চরম বামপন্থা এখন শেষের পথে। উত্তর-পূর্বেও সরকার সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। জঙ্গি সংগঠনগুলির অন্তত ৮ হাজার সদস্য মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা একেবারে নিচুস্তরে পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এব্যাপারে তিনি ত্রিপুরার উদাহরণ টেনেছেন। অমিত শাহ বলেছেন, তিনি ত্রিপুরায় একটি দরিদ্র পরিবারে নিমন্ত্রিত ছিলেন। সেই বাড়িতে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে শৌচাগার, গ্যাস সিলিন্ডার, বিদ্যুৎ, জল পৌঁছে গিয়েছে। সেই পরিবার আয়ুষ্মাণ ভারতের সুবিধাও পাচ্ছে।