ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি!
নিউজ ডেস্ক : ত্রিপুরায় ভোটদান চলছে। বেলা এগারোটা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৩২.০৬ শতাংশ। এবার সেখানে বহুমুখী নির্বাচন। তারপরেই এদিন সকালে ভোট দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ফের একবার রাজ্যে বিজেপির সরকার হবে বলে দাবি করেছেন। এর পিছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ উঠে আসছে।
এদিন সকাল থেকে খয়েরপুর, ধনপুর, শান্তিরবাজার-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরোধীদের একের পর এক অভিযোগ আসলেও ত্রিপুরা জুড়েই ভোট কেন্দ্রগুলির সামনে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েছে।
২০১৮-তে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসে। তবে এর আগে বিজেপি সেখানে কোনও আসন জয় করতে পারেনি। যেখানে গেরুয়া শিবিরের কোনও আসন ছিল না, সেখানে তারা এক ধাক্কায় ৩৬ টি আসন দখল করে। তাদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি পায় ৮ টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেও তারা জোটসঙ্গীকে নিয়েই সরকার গঠন করে। এবার অবশ্য বিজেপি ত্রিপুরায় গতবারের থেকে বেশি অর্থাৎ ৫৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
অন্যদিকে বছরের পর বছর ধরে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে বাম তথা সিপিআইএম-এর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। সেরকমই দুটি দল এবার আসন সমঝোতা করেছে। আর ভোট প্রচারের নেতৃত্বে ত্রিপুরার চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
প্রসঙ্গত ২০১৮-র নির্বাচনে সিপিআইএম তথা বামেরা রাজ্যে ১৬ টি আসন জয় করে। কংগ্রেস একটি আসন না পেলেও, পরে উপনির্বাচনে তারা একটি আসন জয় করে। সিপিআইএম মনে করছে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা তাদের আসন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই সিপিআইএম-এর কেরল ইউনিটের অবশ্য এই আসন সমঝোতা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। কেননা সেখানে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
বাম-কংগ্রেসের মতো বিজেপিও ত্রিপুরায় তিপ্রা মোথার সঙ্গে আসন সমঝোতায় আসার চেষ্টা করেছিল। তবে তা আর হয়নি। কেননা তিপ্রা মোথা আলাদা রাজ্যের দাবিতে অনড় ছিল। অন্যদিকে বিজেপি সাফ জানিয়েছে, তারা রাজ্য ভাগ করতে দেবে না। তাদের এই মনোভাবও বাঙালি ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছে বিজেপি। পাশাপাশি তারা তিপ্রা মোথাকে বাম-কংগ্রেসের বি টিম বলে কটাক্ষ করেছে। যদিও এর পাল্টা হিসেবে তিপ্রা মোথা বিজেপিকে নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম, তামিলনাড়ু, পঞ্জাবে কারা কাদের বি টিম, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিংবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই শুধু নন, বিজেপির উত্তর-পূর্ব জোটের কনভেনর হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, এবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বিজেপি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। ত্রিপুরায় এবার বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখবে বলেও দাবি করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আর এদিন ভোট দিতে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ত্রিপুরায় ফের একবার বড় ব্যবধানে বিজেপির সরকার গঠন নিয়ে আশাপ্রকাশ করেছেন। তবে এবার শুধু ফলাফলের অপেক্ষা।