আঁধারে বার্ধক্য
নিউজ ডেস্ক: যৌথ পরিবার এখন অতীত। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় ভাঙতে ভাঙতে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে পরিণত হয়েছে। আর সেই সঙ্গে পরিবারের প্রবীণ ব্যক্তিরাও যেন অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসা শাস্ত্রের কল্যাণে বিশ্বে বাড়ছে প্রবীনদের সংখ্যা।
পরিসংখ্যান বলছে, ৬০ ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদের নির্ভর করতে হয় তার পরিবারের উপর।দেশের মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ পেনশনভোগী। বহুক্ষেত্রে বয়স্কদের সুরক্ষিত রাখার মৌলিক দায়িত্ব পালন করে না সন্তানেরা।দায়িত্ব পালনে মুখ ফিরিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা।নিজের জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে বাবা মাকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও বিরল নয়। বার্ধক্য জনিত সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন প্রবীণ ব্যক্তিরা।
ঠিক কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স যত বারে মানুষের কর্মক্ষমতা তত কমতে থাকে। পরিসংখ্যান মতে,২৫ বছরের পর থেকে মানুষের ১ শতাংশ করে কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।জীবনের শেষ ভাগে গিয়ে কর্ম ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায়।একই সঙ্গে বার্ধক্যজনিত কারণে বাড়তে থাকে চিকিৎসা খরচ।এই দুইয়ের কারণে আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষাহীনতার শিকার হন বয়স্করা।
সন্তানরা অবহেলা ও অন্যায় করলেও সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চাননা কোন বাবা-মা’ই। বয়স্কদের আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব বর্তমান প্রজন্মের। মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রবীনদের মধ্যে বার্ধক্যের বিষাদ ঘোচাতে চাই বন্ধুত্বের মতো আচরণ। প্রয়োজন তাদের আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তার ভীত মজবুত করা।