বাংলায় কোনোদিনও ৩৫৫ হবে না: অধীর চৌধুরী

0 0
Read Time:4 Minute, 13 Second

নিউজ ডেস্ক::মোদী-দিদির গোপন আঁতাত নিয়ে আবারও সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বাংলার বিজেপিকে অবুঝ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না দিদি-মোদী রসায়নের কথায়। বিজেপি ও তৃণমূলকে একই বন্ধনীতে রেখেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন কেন বাংলায় ৩৫৫ হবে না।

সম্প্রতি বাংলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে বোমা ছোড়া হয়েছে পাথর বৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ। তারপর বিজেপির তরফে তির ছোড়া হয়েছিল যথারীতি তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল কংগ্রেস ও বাংলার সরকারকে নিশানা করে করে তারা ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারার দাবি তুলেছে।

এই ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবিকে কটাক্ষ করেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বাংলায় কোনোদিনও ৩৫৫ হবে না। তার কারণও দর্শিয়েছেন তিনি। অধীর চৌধুরী তাঁর অভিনব ব্যাখ্যায় দুই ‘৪২০’-এর কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, দেশে দুটি ৪২০ আছে। একজন আছেন বাংলায়। দিল্লিতে আছেন অন্যজন। ফলে এখানে কিছু হবে না।

অধীর বলেন, ৩৫৫ করার অনেক সুযোগ চলে গেছে। কোনোদিন ৩৫৫ হবে না। এখনকার বিজেপি কিছু বোঝে না। তাই এইসব ফাঁকা আওয়াজ করছে। কী আর করব। এত কিছুর পরও বাংলার বিজেপি অজ্ঞই রয়ে গেল। তারা বুঝল না মোদী-দিদির রসায়ন। না বুঝেই তারা দিদিকে নিশানা করে যাচ্ছে।

অধীর বলেন, দার্জিলিংয়ের চুক্তির মাধ্যমে উপ রাষ্ট্রপতি পদে গিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দিদির সঙ্গে তো ম্যানেজার আছেই। কেন্দ্রে যারা আছে তারা এই রাজ্যে তৃণমূলকে রক্ষা করতে চাইছে। যাতে বিরোধী ঐক্য তৈরি না হয়, সেজন্যই তারা তৃণমূলের সঙ্গে গোপন রফা করেছে। এবার হয়তো কালীঘাট চুক্তি হবে।

অধীরের কথায়, আমরা চাই রাজ্যপাল ও রাজ্যের সম্পর্ক ভালো হোক। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে ন্যূনতম ভারসাম্য দেখতে পাচ্ছি না। সার্কাস চলছে। নৈরাজ্যের আর এক নাম হয়ে উঠেছে বাংলা। সরকার তথ্য লুকাচ্ছে। নির্বিকার সরকার। যাচ্ছে তাই অবস্থা। কোনও আলোচনা নেই। কাজ নেই। এটা কোনও সরকার চলছে বলেই মনে হচ্ছে না।

অধীর বলেন, কংগ্রেস ব্যালান্স মেকানিজমে বিশ্বাসী। কিন্তু রাজ্য ও রাজ্যপাল বলুন বা রাজ্য ও কেন্দ্র সম্পর্কে কোনো ব্যালেন্স নেই। আসলে দিদি ও মোদী একই। এঁদের পলিটিক্যাল ডিএনএ এক। শুধু পোশাক আলাদা। রং আলাদা। তৃণমূল রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছে। নিজেদের রক্ষা করতে তৃণমূলকে এই কাজ করতে হচ্ছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের চোরের তালিকা দরকার। সরকার প্রকাশ করুক। ডেলি আপডেট দরকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলুন আমি একা টাকা খাইনি। আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুস্বাস্থ্য কামনা করেই বলছি তিনি মুখ খুললেই বাংলায় আরও কত চোর রয়েছে, তা প্রকাশ পাবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!