সুকান্ত মজুমদারের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা!
নিউজ ডেস্ক : সোমবার সকালের বিমানে দিল্লি গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
জিতেন তিওয়ারি গ্রেফতার প্রসঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে সুকান্ত মজুমদার বলেন…..
বোঝাই যাচ্ছে প্রতিহিংসা মূলক। কদিন আগে চিঁড়ে উৎসবে কত মানুষ চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেল। যে কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান সেই উৎসব করলেন, তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হল না। জিতেনের অনুষ্ঠানে যতজন মারা গেছে, তার থেকে বেশি চিঁড়ে উৎসবে মারা গেছিল। এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? মানুষকে এতো বোকা মনে হয়?
অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ নোটিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বশাসিত সত্তা। তাদের ব্যাপারে কোনো রাজনীতিবিদ বা সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ না। তাকে সেই এরিয়ার মধ্যে অটোনমি দেওয়া আছে। এবার সময় বিচার করবে তিনি ভালো কাজ করেছেন না খারাপ।
ববি হাকিমকে সেন্সর প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
পুরানো তৃণমূল নেতা, যারা দল তৈরি করেছিলেন, তাদের আস্তে আস্তে সাইড লাইন করে ভাইপোর হাতে দল তুলে দেওয়া হচ্ছে। মমতার বাড়িতে হওয়া বৈঠকে সুদীপ, ববি বসে ছিলেন। তাদের জ্ঞান দিচ্ছিলেন দিদির মতো স্টাইলে শাড়ি পরা সায়নি ঘোষ। যিনি দু বছর হল পার্টিতে এসেছেন। এটা দেখে আমারই খারাপ লাগছে।
সাগরদিঘির ভোটের জ্বালা মেটেনি, তার মধ্যে যোগদান সভা ফ্লপ– এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
মমতাকে আইপ্যাক এটা বলতে বলেছে। এর সঙ্গে আরএসএসের কোনো সম্পর্ক নেই। মানুষ সাগরদিঘিতে ভোট দিয়েছে। উনি সংখ্যালঘু ভোটকে ওনার পৈতৃক সম্পত্তি ভেবেছিলেন। এখন উনি শিয়রে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন।
অয়ন শীল গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
পৌরসভায় নিয়োগ গুলি খতিয়ে দেখুন। তৃণমূল করেনা, এরকম একজনও চাকরি পেয়েছে?
সুকন্যাকে আজ হাজিরার কড়া নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। বাবার মতই অবস্থা হবে।
প্রাইমারিতে নতুন এফআইআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
সমস্ত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এখন যিনি শিক্ষামন্ত্রী তিনি মাঝে কিছুদিন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তার নিজের লোক বলেছে, ব্রাত্য বাবু এই গলিতে এতো ওই গলিতে এতো চাকরি দিয়েছেন। সব খুলতে দিন। বর্তমান প্রাক্তন কোনো শিক্ষামন্ত্রী বাদ থাকবে না। সব তিহার জেলে মিটিং করবে।