“পুরোহিত চোর হতে পারেন, আমি চোর হতে পারি, মমতা নন”: শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::দুর্নীতি ইস্যুতে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়োগ দুর্নীতির নাগপাশে জড়িয়ে পড়েছে একের পর এক নেতা মন্ত্রী। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা ঘনিষ্ঠ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়দহে কর্মিসভায় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন, ‘পুরোহিত চোর হতে পারেন, তিনি দেবতা নন। আমি চোর হতে পারি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর হতে পারেন না’।
তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে গড় ভবানীপুর আগলে রেখেছিলেন তিনি। পরে সেই কেন্দ্রেই প্রার্থী দয়ে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার খড়দহের কর্মিসভা থেকে দলীয় নেত্রীর সমর্থনে সরব হলেন তিনি। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,’পুরোহিত চোর হতে পারেন, তিনি দেবতা নন। আমি চোর হতে পারি কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর হতে পারেন না’।
এদিনের কর্মিসভায় বামেদের নিশানা করেছেন শোভনবাবু। তিনি বাম আমলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে এনে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন বাম আমলে পলিটেকনিক কলেজে অন্তত ২০০ অধ্যাপককে বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে। ৬৫ শতাংশ নম্বর না পেয়েও কীভাবে অধ্যাপকদের নিয়োগ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এমনকী রজত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও টেনে এনে আক্রমণ শানিয়েছেন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে থাকতে গেলে মাধ্যমিক থেকে গ্র্যাজুয়েট পর্যন্ত ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা আবশ্যিক। কিন্তু রজত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ধারে কাছে নম্বর ছিল না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সরব হয়েছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে। কীভাবে মিলি চক্রবর্তীর চাকরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই এর তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতিতে যে বামেরাও ষোলআনা জড়িত এবং বাম আমলে যে পার্টির কর্মীদের পরিবার পরিজনকে এমনকী পার্টির ছেলেদেরও চাকরি দেওয়া হত সেটা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যত এগোচ্ছে তত শাসক দলের নেতাদের মান প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের জেরা করে একতের পর এক তথ্য হাতে এসেছে ইডির। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা নিশানা করেছেন বাম-বিজেপিকে। আদালতে ঢোকার মুখে প্রকাশ্যে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং সুজন চক্রবর্তীদের নাম করেছেন তিনি। তাঁরা সুপারিশ করেছিলেন চাকরির জন্য এমিনই দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।