তৃণমূল ছেড়ে আসা নেতা নিষ্ক্রিয় বিজেপিতে!
নিউজ ডেস্ক::একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন জেলা সভপাতি মোহন শর্মা। একুশের নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারও করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের হারের পর থেকই তিনি নিষ্ক্রিয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের তাঁকে সক্রিয় করতে চাইছে বিজেপি।
মোহন শর্মাকে ফের বিজেপির রাজনীতিতে সক্রিয় করতে উদ্যোগী হলে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামণিক। আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে এসে বিজেপির নিষ্ক্রিয় নেতা মোহন শর্মার সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা ও কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও দুই বিধায়কের সঙ্গে মোহন শর্মার বৈঠকের পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তবে কি মোহন শর্মাকে ফের রাজনীতিতে সক্রিয় করতেই এই উদ্যোগ। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে সমস্ত সরকারি পদ ছেড়ে দিয়ে হাসিমারায় বিজেপির সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন মোহন শর্মা।
আলিপুরদুয়ার জেলাপরিষদের মেণ্টর এবং তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা। তৃণমূলের মোহন শর্মা সাতটি সরকারি পদে ছিলেন। তা সত্ত্বেও দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একুশরে নির্বাচনের আগে। সমস্ত পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েই তিনি তৃণমূলে ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।
কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর আর তাঁকে বিজেপির সভা-সমিতিতে দেখা যায়নি। বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃণমূল তৃতীয়বারের মতো সরকারে আসার পর সক্রিয় রাজনীতি থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে মোহন শর্মাকে দেখা যায়নি।
কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের। এই অবস্থায় বিজেপি মনে করছে মোহন শর্মাকে দরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোহন শর্মাকে ব্যবহার করার জন্যই এদিন তাঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও বিধায়করা।
আলিপুরদুয়ার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে মোহন শর্মাকে নিয়ে। তিনি কি ফের সক্রিয় হবেন? নাকি নিষ্ক্রিয়ই রয়ে যাবেন। বিজেপিতে তিনি ফের সক্রিয় হবেন কি না এ বিষয়ে মোহন শর্মা মুখ খোলেননি। এদিনের বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে বর্ণনা করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক।
বিধানসভা নির্বাচনের পর মোহন শর্মার সক্রিয় রাজনীতি না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নেই, এমনটা নয়। তিনি তাঁর কাজ করে চলেছেন। এছাড়া মোহনদার মতো বরিষ্ঠ নেতাদের আমরা সঠিক সম্মান ও জায়গা দিতে চাই। তবে এদিনের বৈঠক ছিল পুরোপুরি সৌজন্যের। এই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক ছিল না।