শিক্ষাক্ষেত্রে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা যোগী সরকারের!
নিউজ ডেস্ক::শিক্ষাক্ষেত্রকে ঢেলে সাজাচ্ছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যেই স্কুল গুলির উন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে স্কুলের নিয়োগের ক্ষেত্রেও আলাদা কমিশন তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। এবার শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর যোগী সরকার শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য ৭৫০ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে এই বিপুল অর্থ খরচ করা হবে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলির উন্নয়নে এই বিপুল টাকা খরচ করা হবে বলে জানানো হয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।
রাজ্যের উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর যোগী সরকার। একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ করে চলেছেন তিনি। তার মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে বেশি যোর দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তিনি একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ শিক্ষাক্ষেত্রে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। রাজ্যের সব সরকারি স্কুল গুলির উন্নয়নের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরকে।
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে যোগী সরকার ৭৫০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই টাকার রাজ্যের সব সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের উন্নয়ন করা হবে। এই ৭৫০ কোটি টাকা কোন কোন খাতে কীভাবে খরচ করা হবে তার একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
নতুন উন্নয়ন প্রকল্পে পুরোনো প্ল্যান গুলিকে একেবারেই বাতিল করা হবে না। নতুন এবং পুরনো দুই পরিকল্পনা নিয়েই এই কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে কেন্দ্রের একাধিক পরিকল্পনাকেও সামিল করা হয়েছে। পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে ১২১ কোটি টাকা খরচ করা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্ননে ২০ কোটি টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নয়নে ৬০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে।
এই অ্যাকশন প্ল্যানে কোন পদ্ধতিতে কাজ করা হবে তা সুনির্দিষ্ট করে আগামী ৩ মাসের মধ্যে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এবং সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন যোগী সরকার। প্রথম তিন মাসের মদ্যে ৭৬ কোটি টাকা খরচ করা হবে। তাতে প্রায় রাজ্যের ১৪৫০০ সরকারি স্কুলের উন্নয়ন করা হবে। সেই স্কুলগুলিকে গ্রিন স্কুলে পরিণত করা হবে। তাতে সোলার প্যানেল বসানো হবে।
স্কুলগুলিকে আধুনিক করে তুলতে বিভিন্ন ডিজিটাল প্রোগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ডিজিটাল পরিষেবা স্কুলে স্কুলে তৈরি করার জন্য ৩০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। শিশুদের জন্য প্রত্যেকটি স্কুলে লাইব্রেরি করা হবে। এই ডিডিটাল পরিষেবার জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে।