নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে অনেক সুবিধাই হারাবে তৃণমূল!
নিউজ ডেস্ক::তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যা পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় ধাক্কা। তবে নির্বাচন কমিশন বলেছে, আগামী বছরে লোকসভা নির্বাচন এবং পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ফের জাতীয় দলের মর্যাদা ফিরে পেতে পারে তারা।
প্রসঙ্গত জাতীয় দল হিসেবে মর্যাদা পেতে গেলে তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত একটি পূরণ করতে হয়। যার প্রথমটি হল লোকসভা নির্বাচনে চারটি রাজ্য থেকে অন্তত ছয় শতাংশ ভোট পেতে হবে। দ্বিতীয় হল লোকসভায় তিনটি রাজ্য থেকে অন্তত ১১ টি আসন অর্থাৎ মোট ২ শতাংশ আসন জিততে হবে। তৃতীয় হল অন্তত চারটি রাজ্যে রাজ্য দলের তকমা থাকতে হবে।
১৯৯৮ সালে তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরে ২০১১ সালে তারা পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে। ২০১৬-তে বাংলায় দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা পায়। অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর এবং ত্রিপুরায় রাজ্য পর্যায়ের দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরে তৃণমূলকে সেই মর্যাদা দেওয়া হয়।
জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় তৃণমূল আপাতত বেশ কিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে তৃণমূল ঘাসফুল প্রতীকে লড়াই করতে পারলেও এই দুই রাজ্যের বাইরে তারা সেই প্রতীক নাও পেতে পারে। জাতীয় দলের প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়ানোর সময় একজন প্রস্তাবকের যে সুবিধা পায়, সেই সুবিধা তারা হারাবে। তবে পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে সেই সুবিধা তারা পাবে।
জাতীয় দল যারা, তাদেরকে ভোটার লিস্টের দুটি কপি দিয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়ে সেই সুবিধা পেয়েও অন্য কোনও রাজ্যে তারা সেই সুবিধা পাবে না। জাতীয় দল হলে রাজধানী দিল্লিতে দলের অফিস করতে জমি বাড়ির সুবিধা পায়। সেই সুবিধা পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
জাতীয় দল হলে ৪০ জন তারকা প্রচারককে দিয়ে প্রচারের সুবিধা পেত তৃণমূল। ত্রিপুরা নির্বাচনের সময়েও সেই সুবিধা পায় তারা। এবার সেই সংখ্যা কমে হবে ২০ হয়ে যাবে। কোনও রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গেলে আগে যে ৪০ জনের খরচের সুবিধা তৃণমূল পেত, এখন তা কমে ২০ হয়ে যাবে। ২০ জনের বেশি প্রচারকের খরচ প্রার্থীর নির্বাচনী খরচের সঙ্গে যুক্ত হবে না।
জাতীয় দল হলে প্রসার ভারতীর অধীনে দূরদর্শন কিংবা রেডিওতে বিনা খরচে প্রচারের সুযোগ পাওযা যায়। এবার সেই সুবিধা হারাবে তৃণমূল। সব ধরনের সুবিধা থেকে তৃণমূল আগামী ১০ বছর বঞ্চিত হবে।