ওড়িশা থেকে গ্রেফতার এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত
নিউজ ডেস্ক : এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের দুদিনের মধ্যেই গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ ওরফে কৃষ্ণপদ বাগ। ওড়িশার কটক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জখম অবস্থায় তিনি কটকের হাসপাতালে ভর্তি সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জালে ভানু বাগের ছেলে ও ভাইপোও।
১৬ মে এগরার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে আটজনের মৃত্যু হয়। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন ভানু বাগও। আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে কটকে চলে যায় ছেলে ও ভাইপো। ধরা পড়ার ভয়ে মোবাইলের সুইচ অফ করে দেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ভানু বাগের মুখে ও পায়ে পোড়ার ক্ষত রয়েছে।
১৬ মে গুরুতর আহত অবস্থায় ভানু বাগকে কটকের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিন গ্রেফতার সময় হাসপাতাল থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ছেলে ও ভাইপোকে। বিস্ফোরণের পরে পোড়া শরীর নিয়েই মোটর সাইকেলে ওড়িশায় যায় ভানু ভাগ এবং পরিবারের সদস্যরা। গ্রামের বেশ কয়েকজন পালাতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ।
বিস্ফোরণের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারেই মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। পুলিশকে কড়া নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। তবে এই বিস্ফোরণ কাণ্ডে মামলার সময় পুলিশ লঘু ধারায় মামলা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের করা এফআইআর-এ এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য এলাকায় আগে সিপিআই করতেন বলে জানা গিয়েছে। পরে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে দলবদল। বাজির ব্যবসা ধরে রাখতেই ভানু বাগ দলবদল করে বলে অভিযোগ। নয়ের দশকে তাঁরই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ভাইও মারা যায়। এর আগে বেআইনি বাজির ব্যবসা চালানোর অভিযোগে তাঁকে ছয়বার গ্রেফতার করা হয়েছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবারই পুলিশ এমনভাবে মামলা সাজায়, যাতে ধরা পড়লেও মাস কয়েকের মধ্যেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান। এদিকে এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের এনআইএ তদন্তের দাবিতে প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যার শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।