নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনে না ২০ টি বিরোধী দলের
নিউজ ডেস্ক::বিরোধিতার মধ্যেই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কেন আমন্ত্রণ করা হল না? এই প্রশ্ন তুলে সংসদ ভবন বয়কটের ডাক দেন বিরোধীরা। ২০ টি রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে বিরোধিতা করেছে।
শীর্ষ আদালতে সেই বিরোধীদের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ভবন উদ্বোধনে আর কোনও বাধা ছিল না। তাই পরিকল্পনামাফিক রবিবার সকালে উদ্বোধন হল নতুন সংসদ ভবন। ঠিক সকাল সাড়ে ৭টায় নতুন সংসদ ভবনে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সঙ্গে পূজায় বসেন তিনি। পূজা শেষ হওয়ার পর সেঙ্গলের সামনে বসতে দেখা যায় মোদীকে। এরপর মোদীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ঐতিহ্যবাহী সেঙ্গল। প্রধানমন্ত্রী সেটি হাতে নিয়ে হেঁটে যান ও লোকসভার স্পিকারের চেয়ারের পাশে স্থাপন করেন।
যাঁরা এই নতুন সংসদ ভবন তৈরি করেছেন সেই কর্মীদের সম্মান জানান মোদী। তারপরই হয় সর্ব ধর্মের প্রার্থনা, যাতে অংশ নেয় বহু ধর্মের মানুষ।
১৯২৭ সালে যে সংসদ ভবন তৈরি হয়েছিল, তাতেই কাজ চলছিল এতদিন ধরে। তবে সেই ভবনে আর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা যাচ্ছিল না। সে কারণেই সংসদ ভবন তৈরির ভাবনা আসে। বর্তমানে নতুন সংসদ ভবনে লোকসভায় ৮৮৮ জন সদস্য একসঙ্গে বসতে পারবেন। রাজ্যসভায় বসতে পারবেন ৩০০ জন সাংসদ। দুই সভা যদি একসঙ্গে বসে, সে ক্ষেত্রে লোকসভা কক্ষে ১২৮০ জন সাংসদ বসতে পারেন।
সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উপাদান এনে সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। যেমন, মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে আনা হয়েছে টিক উড, রাজস্থানের মারমাথুরা থেকে আনা হয়েছে লাল ও সাদা পাথর। কার্পেট আনা হয়েছে উত্তর প্রদেশের মীর্জাপুর থেকে, ত্রিপুরা থেকে আনা হয়েছে বাঁশ।
এই সংসদ ভবন উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখতে ৭৫ টাকার কয়েন উদ্বোধনও করা হয়েছে। টাটা প্রজেক্ট লিমিটেডের তৈরি এই ভবনে রয়েছে একটি বিশেষ হল, সাংসদদের জন্য লাউঞ্জ, একাধিক কমিটির জন্য আলাদা আলাদা ঘর, নৈশভোজের জায়গা, বিরাট পার্কিং লট।
তিনকোনা আকারের এই ভবন তৈরি হয়েছে ৬৪ হাজার ৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে। এতে থাকবে তিনটি মেন গেট- জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার ও কর্ম দ্বার। ভিআইপি, সাংসদ ও দর্শকদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা থাকবে। থাকবে একাধিক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।