জাতীয় শিক্ষানীতির একাংশ মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার,ব্যাখ্যা করলেন মমতা
নিউজ ডেস্ক::জাতীয় শিক্ষানীতির একাংশ মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার! সেই মতো এবার থেকে চার বছর স্নাতন করতে হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বুধবার শিক্ষা দফতর একটি বিবৃতি জারি করেছে। যেখানে চারবছরের স্নাতকের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ফের একবার চার বছর কেন স্নাতক অর্থাৎ অনার্স গ্র্যাজুয়েট পাঠক্রম করা হল তা বুঝিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক সহ সমস্ত পরীক্ষায় কৃতিদের সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় সরকারের তরফে। আর সেখানেই যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে চার বছরের স্নাতক কেন প্রয়োজন সে বিষয়ে কথা বলেন। তাঁর কথায়, অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় যাতে পিছিয়ে না পড়ে সে জন্যে এই এহেন পদক্ষেপ।
এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাম্মানিক স্নাতক পাঠ্যক্রমের নতুন নীতি সরকার নিয়েছে। সান্মানিক স্নাতক করতে আগে তিন বছর লাগত। এবার এই পাঠক্রমের মেয়াদ বেড়ে চার বছর হয়ে গিয়েছে। তবে যারা পাস কোর্সে পড়েন তাদের তিন বছরই লাগবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবেই এহেন পদক্ষেপ বলেই জানিয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, স্নাতকে চার বছর লাগলেও মাস্টার ডিগ্রি বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনাতে দুবছর লাগবে না। এর বদলে এক বছর লাগবে। অর্থাৎ এক বছর পড়াশুনা করেই মাস্টার ডিগ্রি পাওয়া যাবে। তবে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পড়াশুনাতে সেই পাঁচ বছর লাগলেও ইউজিসির নিয়মে সুবিধার কথাই এদিন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যা খুবই তাৎপর্য পূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, বুধবার ব্রাত্য বসু তাঁর টুইটে এই বিষয়ে জানান। তিনি লেখেন, একটি বিভ্রান্তমূলক খবর প্রচারিত হচ্ছে যে রাজ্য সরকার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি মেনে নিয়েছে। এটিকে সত্যের অপলাপ বললে কম বলা হবে। রাজ্য সরকার একটি সম্পূর্ণ পৃথক স্টেট এডুকেশন পলিসি তৈরি করেছে, যেখানে সমস্ত ‘বেস্ট প্র্যাকটিসেস’ বা ভালো ব্যবস্থাগুলিকে নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ৪ বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু না করলে আমাদের ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অংশই নিতে পারতো না বলেও জানাচ্ছেন ব্রাত্য বসু। এমনকি শিক্ষা দফতরের তরফেও একটি বার্তা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই চার বছরের স্নাতন পাঠক্রম চালু হয়ে যাবে। সমস্ত সরকারি, সরকারি সাহায্য পাপ্ত এবং সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এহেন পাঠক্রম চালু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।