যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনার পোশাকে কারা?
নিউজ ডেস্ক::সেনার পোশাকে হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছিল একজন যুবক-যুবতী। কারা তারা এই নিয়ে কাটছে না ধন্দ। ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই ভেবেছিলেন তারা সেনাবাহিনীর জওয়ান। নিজেদের বিশ্বশান্তির সেনা বলে পরিচয় দিয়েছিল তারা।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হঠাৎ করে সেনা কেন আসবে আই নিয়ে ধন্ধ তৈরি হয়েছিল। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তারা একেবারেই সেনাবাহিনী কেউ নয়। তাহলে কারা কেন গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এবং কী ছিল তাদের উদ্দেশ্য তা জানতে তৎপর পুলিশ। ইতিমধ্যেই সংগঠনের প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃত কাজি সাদেক হোসেন জানিয়েছেন তিনি এশিয়ান হিউমযান রাইটস সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি। আগেই নাকি তাঁর বাড়িতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের ডাকে সাড়া দেননি তিনি। শনিবার গার্ডেনরিচ থানায় হাজিরা দেন তিনি। তারপরে যাদবপুর থানায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেখানে রাতভর জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয়।
যাদবপুরে ব়্যাগিং কাণ্ডের পর একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন এই নিয়ে সরব হয়েছেন। পাল্টা পথে নেমেছে ডিএসও, এসএফআই সহ একাধিক বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল মাওবাদী শক্তি কাজ করছে যাদবপুরে। এই িনয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
যাদবপুরে সিসিটিভি বসানো নিয়ে বিরোধিতা শুরু করেছে পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ চক্রান্ত করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করা হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বার্থে এসব করা হচ্ছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে পড়ুয়ারা। তারই মাঝে হঠাৎ করে সেনার পোশাকে কারা ঢুকে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে এই নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
যাদবপুরে ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় ৯ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী এবং তার দুই সহযোগী মনোত স এবং দীপশেখরকে আগেই গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া িগয়েছে। সৌরভ চৌধুরীর নির্দেশেই তৈরি হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এবং তদন্ত ভুল পথে চালনা করতেই একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হয়।