দেশ জুড়ে ভারতীয়দের মন জয় করে নিয়েছেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ
নিউজ ডেস্ক::দাবা বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের কাছে হেরে গেলেও দেশ জুড়ে ভারতীয়দের মন জয় করে নিয়েছেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। শুধু তাই নয় ফাইনালের যাত্রায় বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই নজির গড়লেন তিনি। এছাড়া কয়েকদিন আগে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার প্রজ্ঞানন্দার বাবা-মাকে একটি ইলেকট্রিক গাড়ি উপহার দিয়েছেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা।
প্রজ্ঞানন্দকে শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সেই তালিকায় রয়েছেন আনন্দ মাহিন্দ্রাও। সমাজ মাধ্যমে বেশ বেশ সক্রিয় থাকেন মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান। প্রজ্ঞার এই কীর্তির জন্য উপহারস্বরূপ তাকে থার এসইউভি দেওয়ার আর্জি করেন নেটিজেনরা।
ভারতীয় খেলাধুলায় নতুন পোস্টার বয়কে দামি উপহার দিয়েছেন আনন্দ মহীন্দ্রা তবে একটু অন্যভাবে। বিলাস বহুল গাড়িটি প্রজ্ঞানন্দকে নয় উপহার দিয়েছেন তাঁর মা বাবাকে।
এই প্রসঙ্গে আনন্দ মহিন্দ্রা বলেন , আমি মনে করি আমাদের প্রজ্ঞানন্দ, শ্রীমতি নাগালক্ষ্মী এবং রমেশবাবুর পিতামাতাকে একটি এক্সইউভি৪০০ উপহার দেওয়া উচিত। যারা তাদের ছেলেকে লালন পালন করেছে এবং তাঁদের অক্লান্ত সমর্থন দেওয়ার জন্যই আমাদের কৃতজ্ঞতার যোগ্য।
এরপরই আনন্দ মহিন্দ্রাকে ধন্যবাদ জানান প্রজ্ঞানন্দ। সমাজ মাধ্যমে তরুণ দাবাড়ু লেখেন, ‘কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনও ভাষা নেই আমার, অনেক ধন্যবাদ আনন্দ মহিন্দ্রা স্যার, রাজেশ স্যার। আমার মা বাবার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল নিজস্ব একটা গাড়ি হওয়ার, সেই স্বপ্ন অবশেষে বাস্তবে পরিণত হল।’
বাবা রমেশবাবু ছিলেন স্থানীয় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, মা নাগালক্ষ্মী গৃহবধূ। ছোটবেলায় দিদি বৈশালীকে দেখেই দাবার প্রতি আগ্রহ জন্মায় প্রজ্ঞানন্দের। দিদি নিজেই দুইবারের ইয়ূথ চেস চ্যাম্পিয়ন। পড়াশুনার পাশাপাশি সময় পেলেই মেতে থাকতেই সাদা কালো ঘুটির খেলায়।
৫ বছর বয়স থেকেই দাবা কোচিং ক্লাবে যাওয়া শুরু করেন। বাকিটা ইতিহাস। প্রজ্ঞানন্দের জীবনে বড় অবদান আছে তাঁর মা বাবা এভঁ দিদির। তাঁরা সব সময় সঙ্গে থাকেন প্রজ্ঞানন্দের।
বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট কনফার্ম করার সুবাদে ২০২৪ সালে ক্যান্ডিডেটসে খেলার সরাসরি সুযোগ পাবেন প্রজ্ঞা। আজারবাইজানের বাকুতে আয়োজিত হওয়া এই সেমিফাইনালের দুটি ক্ল্যাসিক্যাল গেমে একটি করে জয় পান প্রজ্ঞা ও কারুয়ানা। এরপর টাইব্রেকারে দুরন্ত কামব্যাক করে ম্যাচ জিতে নেন এই ভারতীয়। ফাইনালে উঠে প্রজ্ঞা বলেন, “আমি নিজের সেরা পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করেছি। ফাইনালেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে খেলার চেষ্টা করব।”