বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক
নিউজ ডেস্ক::ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে শেষ পর্যায়ের প্রচার জমজমাট। গতকাল অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের জনসভায় বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দীপেন প্রামাণিক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। সেই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়ের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন তিনি। আর সকালেই তিনি যোগদান করলেন বিজেপিতে। ধূপগুড়ির একটি বেসরকারি ভবনে তার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
যোগদান করার পর মিতালি রায় বলেন,” আমাকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোর করে প্রচারে নামানো হয়েছে। মানসিক চাপ নিয়ে আমি থাকতে পারছিলাম না।” সকাল থেকেই তাঁর যোগদানের জল্পনা শুরু হয়েছিল। সুকান্ত মজুমদার ধূপগুড়িতে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে দেখা যায় বিজেপি পার্টি অফিসে। তার পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় পুরো পরিস্থিতি।
এদিকে আজই ধূপগুড়ি প্রচারে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সকালেই বিধানসভার উপনির্বাচনের শেষ মূহুর্তের প্রচারে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সিং মুখোমুখি হয়ে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার ঘোষণায় অভিষেককে কটাক্ষ করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছেন, পিসির কাছে অনেক গুন পেয়েছে ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহকুমার কথা বললেও আড়াই বছর কাটলেও করেননি। এবার ভাইপোকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন। যা নির্বাচনি বিধিভঙ্গ। রাজবংশী ও মতুয়াদের পায়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন মমতা আগামী ৫ তারিখে ৭৬% ধূপগুড়ির মানুষ তার দেবে।ইন্ডিয়া জোট জিতলে ৫০০ টাকা গ্যাস হবে অভিষেকের মন্তব্যে কটাক্ষ করে শুভেন্দু জানান এখন গ্যাসের দাম ৯০০ হয়েছে। মোদী সরকার ২০০ টাকা কমিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত ২০০টাকা কম করার। তাহলে বোঝা যাবে এই তৃণমূল মানুষের সরকার।
আগেই কেন্দ্র সরকার পেট্রোল ও ডিজেলে দাম কমালেও এই তৃণমূল এক টাকাও দাম কমায়নি। শুধু মদের দাম কমিয়েছে। আর এর জন্য অত্যাচারিত হচ্ছে আমাদের নারী শক্তি। নারী সুরক্ষায় গোটা উত্তরবঙ্গের ধ্বংসের মুখে বলে তিনি জানান। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার পর মাটিগাড়া তার বড় প্রমান। এক দেশ এক নির্বাচন কমিটি থেকে সরে অধীর চৌধুরীর সরে দাঁড়ানো নিয়ে শুভেন্দু জানান মালিকরা বলেছেন তাই তিনি করেছেন। অধীর চৌধুরীর পার্টি 4G পার্টি আর তৃণমূল 2G পার্টি। অভিষেককে কটাক্ষ করে।
ধূপগুড়ির কথা একাধিকবার বিধানসভার বলেছেন প্রয়াত বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়। লোকসভার অভিষেককে কত দিন গিয়েছে। তিনি প্রতিদিন গিয়েছে। বিষ্ণুপদ রায়কে রাজবংশী বিধায়ককে খুন করেছে এই সরকার।